পটুয়াখালীতে প্রভাষকের হাতে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত, অভিযুক্ত জেলে

পটুয়াখালীর দুমকিতে অনুপস্থিতির কারণে শোকজ দেয়ার জেরে অধ্যক্ষকে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম, অফিস ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত, একই প্রতিষ্ঠানের আরবি প্রভাষক মাও: মো. মজিবুর রহমান কামালকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাদি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মাদ মহসিন জানান, দুমকি উপজেলার দক্ষিণ মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. কাজী মো. শাহজালালকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মজিবুর রহমান কামালকে প্রধান করে ৪ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন ৩১ আগস্ট দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করলে মজিবুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করে।

উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে আজ সোমবার পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেনে দীর্ঘ শুনানির পর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযুক্তকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় আরবি প্রভাষক মাও: মো. মজিবুর রহমান কামালকে শোকজ করেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ কাজী শাহজালাল।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ৩১ আগস্ট বুধবার অধ্যক্ষ মাও. কাজী মো. শাহজালাল মাদ্রাসা গেটে পৌঁছলে আরবি প্রভাষক মজিবুর রহমান কামাল ও তার পুত্র রইসউদ্দিন, বোন ফজিলাতুন্নেসা ও ভাগ্নে ইমরান হোসেন খানসহ স্বজনরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মেরে, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

খবর পেয়ে মাদ্রাসার সহকর্মীরা আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।