পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে চেয়ারে বেধে পুড়িয়ে হত্যা

পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে চেয়ারে বেধে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বরগুনায়। ঘটনার পরে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্বজনরা বলছেন, বর্তমানে নিরাপত্তাহীন আছে নিহত গৃহবধূর দুই শিশু সন্তান। তবে পলাতক রয়েছে অন্য অভিযুক্তরা। পুলিশ বলছে বাকিদের ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

স্বজনরা জানায়, ৯ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিয়ে লবনগোলা এলাকায় প্রতিবেশী মহাসিনের সঙ্গে বিয়ে দেন নাসরিনকে। বিয়ের কয়েক বছর পরেই মহাসিন একি এলাকার হামিদা নামের আরেক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। আর এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। আর এ নিয়েই গত ২৪ জুন ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী মহাসিন ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন চেয়ারে বেধে প্রথমে পিটিয়ে ও পরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার চিৎকার যাতে প্রতিবেশীরা শুনতে না পারে তার জন্য উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্সে গান বাজায়।

পরে প্রতিবেশীরা চিৎকারের শব্দ শুনে নাসরনিকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে প্রথমে বরিশাল ও পরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেয় চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নাসরিনের ওপর এমন নির্যাতনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

এদিকে, যারা নির্মম ভাবে হত্যা করতে পেরেছে তাদের কাছে নাসরিনের দুই সন্তান তামিম ও রামিম মহাসি নিরাপদ নয় বলে দাবি করে তাদের নিজের কাছে রাখার সুযোগ চেয়েছেন নাসরিনের মা।

এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আসামী নাসরিনের বাবার দায়ের করা মামলায় স্বামী মহাসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

গত ৩০ জুন শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে নাসরিনের মৃত্যু হয়।