পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘বেহেশতে আছে’ উক্তি জনগণের সঙ্গে তামাশা : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে, ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে, সেই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণকে বেহেশতে যাওয়ার কথা বলেছেন। তার এই পরিহাস করার কোনো অধিকার নেই। এখন দেশে প্রচুর লুটপাট হচ্ছে, সেই লুটপাটের জন্য জনগণের সঙ্গে তারা পরিহাস-তামাশা শুরু করেছে’।

শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ দায়মুক্তি আইন তৈরি করে দুর্নীতি ও লুটপাটের জন্য সংশ্লিষ্ট আমলা-প্রকৌশলীদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি সময় আসে তাহলে আমরা (বিএনপি) এর বিচার করবো’।
বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকারে গেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, সে ক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে ১২ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

লুটপাটের সুবিধার্থে দায়মুক্তির আইন করেছে সরকার

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেড় দশক ধরে উন্নয়নের ঢাকঢোল বাজিয়েছে আওয়ামী লীগ। তার মধ্যে অন্যতম বিদ্যুৎখাত নিয়ে। গত ১০ জুলাই ১১ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসব পালন করা হলো, কিন্তু এখন পুরো দেশে চরম লোডশেডিং। উৎসব যদি পালনই করা হলো, তাহলে কেন লোডশেডিং?

শনিবার (১৩ আগস্ট) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, ওভার ক্যাপাসিটি থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি কেন? ভারত থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ আমদানি অযৌক্তিক। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে লুটপাটের সুবিধার্থে দায়মুক্তির আইন করেছে সরকার। যার সুবিধা পাবে আমলা, রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী সবাই। কোনোদিন সুযোগ এলে এগুলোর বিচার করবে বিএনপি।

বিদ্যুৎখাতের বিপর্যয়, রিজার্ভ সংকটে অর্থনৈতিক নৈরাজ্য ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনতিবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, অন্যথায় দুর্বার গণআন্দোলনে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

ক্যাপাসিটি চার্জের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, অলস বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রাখা হয়েছে ৬০ শতাংশ। বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। যাতে টাকা অপচয় হচ্ছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুতের জন্য কোনো বিনিয়োগই না থাকায় প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট উৎপাদনে নেমে এসেছে।