পাবনার ঈশ্বরদীতে হাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষে ৩০ জন আহত

পাবনার ঈশ্বরদীতে হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত কমপক্ষে ৩০ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাতে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ুলিয়া গ্রামের নাছিরের ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার চর গড়গড়িয়া গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে সিরাজ (২৬), সেকেন্দার মালিহার ছেলে আশাদুল্লাহ মালিহা (৫০), আব্দুল্লাহ মালিহা (৫৫), সাত্তারের ছেলে মজিবর (৫০), মকবুলের ছেলে আজিজ (৫০), উকিলের ছেলে শরিফ (৫০), পিন্টু (৫৫), আরিফ (৩৮), সাকাতের ছেলে সাব্বির (২০), আক্কাসের ছেলে রানা (৪৮), গনির ছেলে সালাম (৫৮), মৃত তোরাপের ছেলে আব্দুল লতিফ (৪০), মসলেমের ছেলে বাবলু (২০), সাত্তার মালিথার ছেলে বাশার মালিহা (৪৫), বাচ্চুর ছেলে সাচ্চু (২৫) ও মিন্টুর ছেলে নাজমুল (৩৫) ও চরকুড়ুলিয়া গ্রামের মিন্টুর ছেলে নাজমুল (৩৫)। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে প্রায় দেড় যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত হয় আলহাজ মোড় হাটবাজার। প্রতিদিনের এই সবজি বাজারে ওই এলাকার শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে থাকেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সবজি রপ্তানিতে এই এলাকার বেশ সুনাম রয়েছে। চলতি চৈত্র-বৈশাখ বছরের জন্য ২১ লাখ টাকা দিয়ে চর গড়গড়ী মাদ্রাসা হাট-বাজারটি ইজারা নেন গোলাম সারওয়াররা এবং নিয়মিত খাজনা আদায় করে আসছিলেন। পরে পাশের ৫০০ মিটার দূরের আলহাজ্ব মোড় হাট-বাজার ৩৫ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নিয়ে আসেন আব্দুল্লাহ আল কাফি মালিথারা। আলহাজ্ব মোড় হাট-বাজার তেমন জাকজমকপূর্ণ না হওয়ায় পাশের চর গড়গড়ী মাদ্রাসা হাট-বাজার দখল করেন কাফি-সন্টু গংরা। দৈনিক হাট ও সাপ্তাহিক হাটের ইজারা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।