পাবনার সাঁথিয়ায় অবরুদ্ধ চারটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা খুলে দিলো পুলিশ

পাবনার সাঁথিয়ায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তানজিলের অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার অবরুদ্ধ তিনটি পরিবারকে শুক্রবার (২৪ মে) মুক্ত করেছে থানা পুলিশ। উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের পোরাট গ্রামে তিন বাড়ির চারিদিকে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে চার দিন ধরে ওই পরিবারগুলোকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাঁটাতারের বেড়া ও খুটি অপসারণ করে দেন। পোরাট গ্রামে শাজাহানের বাড়িতে। পুলিশ দেখে ছাত্রলীগ নেতা তানজিল পালিয়ে যায়।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা পোরাট গ্রামের আশরাফুল ওলুম হাফিজিয়া মাদরাসার রাস্তার জায়গা দেয়া ও গ্রাম্য সমাজে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে না থাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে তিনটি পরিবারের সদস্যরা। ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তানজিলের নেতৃত্বে ঠান্টু, রফিকুল, খলিলসহ ১০/১২জনের একটি দল গত চারদিন ধরে গ্রামের শাজাহান, শফিকুল ও নজরুলের বাড়ির চারিদিকে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। অবরুদ্ধে ওই পরিবারের শিক্ষার্থীসহ সদস্যরা কাঁটাতারের ভিতরে বন্দি জীবন যাপন করতে থাকে। হাট-বাজারে যাওয়া আসা বন্ধ হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছিল তারা। খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানার পুলিশ শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাঁটা তারের বেড়া অপসারণ করে অবরুদ্ধদের।

ধোপাদহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তানজিল বলেন, এসব বিষয়ে আমি জানি না। এটা সমাজের মানুষ জানেন। তারা সমাজের ৭৮ জনের মধ্যে আলাদা জীবন যাপন করেন।

ভূক্তভোগী শাজাহান জানান, আমি এখানে জায়গা কিনেছি ১৪ শতক। আমি রাস্তার জন্য ২ ফুট জায়গা ছেড়ে দিছি। রাস্তার সাথে আমার অনেক গাছগাছালি ছিল সেগুলো কেটে দিয়ে রাস্তায় জায়গা দিয়েছি। আমরা কয়েক ঘর তাদের সাথে সমাজে থাকবো না বলে তারা আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়।

সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি নিজে গিয়ে কাঁটা তারের বেড়া খুটি অপসারণ করে তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা তানজিলসহ অন্যান্যদেরকে ধরতে গেলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। অভিযোগ দিলে মামলা নিবেন বলে জানান তিনি।