পাসপোর্ট কাণ্ডে ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বরখাস্ত

পাসপোর্ট না দেখেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদকে কাতারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ঘটনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন।

তিনি জানান, ঘটনার দিন ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে ছিলেন এসআই কামরুজ্জামান। তিনি পাইলট ফজল মাহমুদের কাছে পাসপোর্ট চেয়েছিলেন। জবাবে পাইলট বলেছিলেন তার পাসপোর্ট ব্যাগের ভেতরে আছে। নিয়মিত যাওয়া আসা করেন বলে, তার কথায় বিশ্বাস করে আর পাসপোর্ট দেখেননি দায়িত্বরত ওই এসআই। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দেশে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন। তাকে আনতে বুধবার রাতে ঢাকা থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান। পরে কাতার ইমিগ্রেশনে ধরা পড়লে তাকে সেখানেই আটকে রাখা হয়।

তখন ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে। পরে বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক (জিএম সেন্ট্রাল কন্ট্রোল) আশরাফ।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক জানান, এ ঘটনার পর ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট অপারেশনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তার পরিবর্তে আরেকজন ক্যাপ্টেনকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।