প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলস্রোতে আনা হচ্ছে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন উন্নয়নের ছোঁয়ার বাইরে ছিল। প্রয়োজনীয় কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে আনা হচ্ছে।

সোমবার (২০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদফতর মিলনায়তনে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন এবং আগামীতে প্রান্তিক পেশার উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু।

মন্ত্রী বলেন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও পুঁজির অভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই তাদের আদি পেশা পরিবর্তন করেছে। অবশিষ্টরা যাতে নিজ পেশায় থেকে স্বাবলম্বী হতে পারে সে জন্য ‘বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প’বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭-২০২২ মেয়াদে দেশের ৮টি বিভাগের ২৭টি জেলার ১১৭টি উপজেলা/শহর ইউনিটে বিদ্যমান বিভিন্ন আদি পেশায় নিয়োজিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে কামার, কুমার, নাপিত, মুচি, বাঁশ-বেত পণ্য প্রস্তুতকারী ও কাঁসা-পিতল পণ্য প্রস্তুতকারীদেরকে নিয়ে ৭০ কোটি ৮৪ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় অনলাইন শনাক্তকরণ জরিপের মাধ্যমে সারা দেশে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার প্রান্তিক পেশাজীবীকে শনাক্ত করা হয়েছে। আদি ক্ষুদ্র পেশায় নিয়োজিত ২৬ হাজার ৩৪৩ জন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেমন- কামার, কুমার, নাপিত, মুচি, বাঁশ-বেত পণ্য প্রস্তুতকারী ও কাঁসা-পিতল পণ্য প্রস্তুতকারীকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুতকরণ ও প্রান্তিকজনগোষ্ঠীর আদি পেশার টেকসই উন্নয়নে আর্থিক সহায়তার জন্য প্রকল্পের নির্বাচিত ২৬ হাজার ৩৪৩ জন উপকারভোগীকে মূলধন হিসেবে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্প দলিল অনুযায়ী ঢাকায় একটি প্রান্তিক শিল্প প্রদর্শনী ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।