ফেসবুকে যারা আজেবাজে কথা বলছে, তাদের যেন শাস্তি দেওয়া হয় : মিন্নি

স্বামী হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। তার ওপর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজেবাজে কথা ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মিন্নি বলেন, ‘ফেসবুকে আমার বিরুদ্ধে আজেবাজে লেখালেখি হচ্ছে বলে আমি শুনেছি। এইসব যারা করছে, তারা সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর জন্য করছে। এরাও খুনিদের সঙ্গে জড়িত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও এদেশের মানুষের কাছে আমার একটাই দাবি, যারা এমন আজেবাজে কথা বলছে তাদের যেন শাস্তি দেওয়া হয়।’

শনিবার রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌর শহরের মাইঠা এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীকে সন্ত্রাসীরা চোখের সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের বিয়ের বয়স দুইমাস। কিন্তু দুই-তিন বছর আমাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। আমরা একজন-আরেকজনকে ভালোবাসতাম। বিষয়টি আমাদের পরিবারকে জানালে দুইমাস আগে আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমি তো আগেই বলেছি, বিয়ের আগে ও পরে নয়ন আমাকে রাস্তাঘাটে বিরক্ত করতো। জোর করে আমার রিকশায় ওঠতো। আমার সঙ্গে ছবি তুলতো।’

ফেসবুকে স্ট্যাটাসকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভাই, আপনারা একটু খুনিদের ধরতে সহযোগিতা করুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার বিকালে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা সাংবাদিকদের জানানোর কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে আমি প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে পারিনি।’

উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি।

এরপর গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মূল আসামি নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।