বউকে তালাক না দেয়ায় যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

তাদের মধ্যে প্রেম ছিল। অতঃপর পরিবারকে না জানিয়ে লুকিয়ে বিয়ে। জানাজানি হওয়ার পর মেয়ের পরিবার ক্ষুব্ধ হয় ভীষণ। তারা চায় মেয়েকে তালাক দিক প্রেমিক স্বামী। কিন্তু তা না হওয়ায় তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মেয়েরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।

খবর পেয়ে পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমান নামের ওই যুবককে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভতি করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের দোলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে দোলাপাড়ার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে ৪ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে আমি শারমীনকে রেজেস্ট্রি এবং শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করি। বিষয়টি অ্যাফিডেভিটও করি। বৃহস্পতিবার আমার স্ত্রী ফোন করে জানায়, তার ওপর নির্যাতন চলছে, তাকে যেন নিয়ে আসি। আমি তাকে আনতে শ্বশুরবাড়ি গেলে তারা আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে।’

একই গ্রামের বাদশারুল মিয়া ভুট্টোর মেয়ে শারমিন আখতার। মোস্তাফিজের সঙ্গে তার বিয়ের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র আছে তাদের।

এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মোস্তাফিজ স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাদশারুলসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে তালাকনামায় সই দেয়ার চাপ দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মোস্তাফিজকে উদ্ধার করে।

রংপুর কোতোয়ালি থানার এএসআই মমিনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মোস্তাফিজকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। পরে অভিভাবকদের জিম্মায় হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে।

তবে শারমিনের বাবা বাদশারুল মিয়া দাবি করেন, তার মেয়ের সঙ্গে মোস্তাফিজের কোনো বিয়ে হয়নি।

রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এ বি এম জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।