বগুড়ার মহাস্থানে চুরি যাওয়া প্রাইভেট কারটি উদ্ধার!

বগুড়ার শিবগঞ্জের ঐতিহাসিক মহাস্থান মাজার জিয়ারত করতে এসে চুরি যাওয়া প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে ২১ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের আগে মহাস্থান মাজার এলাকায়। যাহার নং— ঢাকা মেট্রো—খ ১২—৪৩৬৫।

গাইবান্ধা থেকে আসা জিয়ারতকারীরা জানান, গোবিন্দগঞ্জ থানার চন্ডিপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে লেবু তার মেয়ের মানত পরিশোধ করার জন্য শুক্রবার ১১টার দিকে ১টি বাস ও একটি প্রাইভেটকার নিয়ে প্রায় ৭০জন মহাস্থান হযরত শাহ সুলতান বখলী (রঃ) মাজার এলাকায় আসেন।

মাজার এলাকার ঈদগাহ মাঠে বাস ও প্রাইভেটকারটি গ্যারেজ করে তারা রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়। কিছুক্ষন পর প্রাইভেট কারের মালিক সাইদুল মাতন ঈদগাহ মাঠে এসে দেখেন প্রাইভেট কারটি নেই। তিনি তাৎক্ষনিক গ্যারেজের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান।

খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বগুড়া—রংপুর মহাসড়কের মহাস্থান বাজার মাংসপট্টি এলাকা থেকে চুরি যাওয়া প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

প্রাইভেট কারের মালিক সাইদুল মাতন বলেন, আমার বন্ধুর মেয়ের জন্য মহাস্থান মাজার জিয়ারত করতে এসেছি। আমি গাড়িটি ঈদগাহ মাঠে পার্কিং করে আমিসহ আমাদের লোকজন রান্নার কাজে যাই। পরে এসে দেখতে পাই প্রাইভেটকারটি নেই। আমি তাৎক্ষনিক মাজার কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। পরে পুলিশ মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।

মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর এর কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাজার এলাকায় গ্যারেজ করার সময় কোন গাড়ী এন্ট্রি (টিকিট) করা হয়না। আমার মনে হয়, প্রাইভেটকারটি গাড়ীর লোকজন অন্যত্র রেখেছিলো। গাড়ীর মালিক গাড়ী হারানো বিষয়ে কমিটিকে জানানো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাইভেটকারটি হারানোর বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি।

এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাইভেটকার ও জিয়ারতকারীরা শিবগঞ্জ থানায় অবস্থান করছিলো।