বজ্রাঘাতে মা-ছেলেসহ আটজন নিহত

নওগাঁর সদর উপজেলা, আত্রাই ও মহাদেবপুর উপজেলায় বজ্রাঘাতে স্কুলছাত্রসহ পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। একই সময় বজ্রাঘাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় মা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

নওগাঁয় নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আফজাল হোসেন (৫৫), দুবলহাটি ইউনিয়নের সরিজপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম (২৯), মহাদেবপুর উপজেলার রাইগা ইউনিয়নের বিরম গ্রামের আরাফাত হোসেন (৮) ও আত্রাই উপজেলার বিসা ইউনিয়নের দর্শন গ্রামের মিলন ইসলাম (২২) এবং রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খয়েরহাট বাজার গ্রামের মো. রতন ইসলাম (২০)।

খাগড়াছড়িতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া এলাকার নিয়াম্রাসং মারমা (৪৫) ও তাঁর ছেলে থোয়াইপ্রু মারমা (২০) এবং বটতলা এলাকার সানু মারমা (২৫)।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বৃষ্টির মধ্যে মাঠে নিজ ক্ষেতে ধান কাটছিলেন সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সদর উপজেলার সরিজপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বৃষ্টির সময় মাঠে গরু আনতে গেলে বজ্রাঘাতে তিনি নিহত হন। রফিকুল সরিজপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মহাদেবপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুপুরে বৃষ্টির সময় স্কুলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বিরম গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন। এ সময় বজ্রাঘাতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আরাফাত উপজেলার রাইগা ইউনিয়নের বিরম গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে।

আত্রাই থানার ওসি বদরুদ্দোজা আত্রাই উপজেলা দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে বটতলা এলাকার সানু মারমা (২৫) বজ্রাঘাতে নিহত হন।

সদর উপজেলার ভাইবোনছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা জানান, দুপুরে বজ্রাঘাতে ইউনিয়নের নিয়াম্রাসং মারমা (৪৫) ও তাঁর ছেলে থোয়াইপ্রু মারমা (২০) নিহত হন।