বন্দিদের খুন করে জৈব সার তৈরি করছেন কিম জং উন!

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের অমানবিক মানসিকতার কথা সারা বিশ্ব জানে। সম্প্রতি তার আরেক কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে আনলো আমেরিকান সংস্থা ‘কমিটি ফর হিউম্যান রাইটস ইন নর্থ কোরিয়া’।

উপগ্রহ চিত্র থেকে পাওয়া ছবি দেখিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণেরও চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত ওই মানবাধিকার সংস্থাটি। যদিও এই ধরনের অভিযোগের কথা মানতে নারাজ উত্তর কোরিয়া।

সোমবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সান।

তাদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের মধ্যেই অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পেয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। ফলে প্রচুর মানুষ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিম জং উনের নির্দেশে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে কড়া নজরদারি চালানোর ফলে কারও সেই ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। উল্টে ওই নাগরিকদের গ্রেফতার করে জোর করে শূকর পালনের কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের আধপেটা খেতে দিয়ে এতটাই পরিশ্রম করানো হচ্ছে যে কিছুদিনের মধ্যেই প্রাণ হারাচ্ছেন ওই মানুষগুলো। এরপর তাদের মৃতদেহগুলো মাটি চাপা দিয়ে জৈব সার তৈরি করে তা দিয়ে ফুল চাষ করা হচ্ছে।

মার্কিন ওই সংস্থার এক বিশেষজ্ঞ উপগ্রহ চিত্রটি বিশ্লেষণ করে দাবি করেছেন, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিংইয়ং থেকে ৩০ মাইল দূরে দ্য চংসান নামে একটি ক্যাম্প রয়েছে। সেখানেই দেশে ছেড়ে পালিয়ে যেতে চাওয়া নাগরিকদের আটকে রেখে অমানবিক অত্যাচার করছে কিম জং উনের প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ওই বন্দিদের দিয়ে জোর করে শূকর পালন করানো হচ্ছে। আর খেটে খেটে ওই মানুষগুলো মরে যাওয়ার পর তাদের মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জৈব সার। যা পাঠানো হচ্ছে লাল রঙের আজালিয়া ফুলের বাগানে।