বরিশালে পরিবহন ধর্মঘটে অচল জনজীবন, দুর্ভোগ চরমে

বরিশালে, দ্বিতীয় দিনের মতো লঞ্চ ও বাস ধর্মঘট চলছে। ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। রিকশায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

নৌযানসহ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনেও বরিশাল ছাড়তে পারছেন না মানুষ। একইভাবে প্রবেশও করতে পারছেন না।

গত বৃহস্পতিবার থেকে বাস ও লঞ্চ ধর্মঘট শুরু হলেও, কার্যত শুক্রবার সকাল থেকে বরিশাল পরিণত হয়েছে এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে।

শনিবার দ্বিতীয় দিনে বরিশাল বিভাগ জুড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ। তাই, সড়কে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত গাড়ি, সিএনজি মাহিন্দ্রা বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশায় চলাচল করতে হয়েছে বেশিরভাগ যাত্রীদের। কেউ কেউ পায়ে হেঁটে গেছেন গন্তব্যে।

পথের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্টে হয়রানির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, বিনা কারণেই পুলিশ তাদেরকে থামিয়ে তল্লাশি করছে।

সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ কোনো রুটের লঞ্চ বরিশাল থেকে ছেড়ে যায়নি। যার কারণে ঘাটেও ছিলো না কোন কর্মব্যস্ততা।

তবে শনিবার সন্ধ্যার পর বরিশাল থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে চারটি লঞ্চ ছাড়ার যাবার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা।

পূর্বঘোষণা ছাড়া হঠাৎ লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বরিশালে আটকা পড়েছে ঢাকাগামী অনেক মানুষ। লঞ্চ, যানবাহন না থাকায় তারা ঢাকা ফিরতে পারছেন না।

বিভিন্ন দাবিতে ডাকা ধর্মঘটের কারণে এবং সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেন কোন বিশৃঙ্খলা না হয় তার জন্য সড়কে দেখা যায় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে বাস মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তিন চাকার বাহনের চালকরা অবাধ চলাচলের দাবি জানিয়েছে।

বাস মালিক সমিতির নেতাদের দাবি, মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে থ্রি-হুইলার বন্ধ করতে হবে। আর থ্রি-হুইলার মালিক শ্রমিক নেতাদের দাবি সর্বত্র থ্রি-হুইলার চলাচল করতে দিতে হবে।