বর্তমান ইসির অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে না : সুজন সম্পাদক

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বদিউল আলম বলেন, ‘সিইসি বলেছেন নির্বাচনে অনিয়ম হবে। এ কথা বলে তিনি যে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেছেন, তাতে এ কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে আমি মনে করি না।’

তিনি আরো বলেন, বিগত দিনে পাঁচ সিটি করপোরেশনে আমরা বিভিন্ন রকমের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের বিভিন্ন রূপ দেখেছি। এগুলোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এতে দর্শকের ভূমিকায় ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, এখন সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে (সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, নাগিরক সমাজের প্রতিনিধ) নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

সেখানে আরো বলা হয়, সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য করণীয়সমূহ সম্পাদনের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সরকারকে পরামর্শ দিতে হবে। যাতে সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব স্বীকারকারী সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনাক্রমে সকলে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। উক্ত সনদে নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনকালে এবং নির্বাচনের পর কখন কী ধরনের পরিবেশ-পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, কার কী ভূমিকা হবে, সরকার গঠন করলে কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে, বিরোধী দলে থাকলে সংসদকে কার্যকর রাখার জন্য কী ধরনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে, সনদের শর্ত ভঙ্গ করলে কী হবে তা উল্লেখ থাকবে।

এ ছাড়া রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনকে খুলনা মডেলের পুনরাবৃত্তি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। খুলনা মডেলের বৈশিষ্ট্য ছিল- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করা, বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করা, নির্বাচনের দিনে জোর-জবরদস্তি করা ও নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার থাকা। একই সাথে উন্নয়নের নামে ভোটারদের জিম্মি করাও ছিল একটি নির্বাচনী কৌশল।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।