বাংলাদেশ এবং কাজী নজরুল এক ও অবিভাজ্য : বাংলাদেশ ন্যাপ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছে যে, কাজী নজরুল আমাদের আত্মার শক্তি। যে কোনো বিচারে নজরুলের বিকল্প আমাদের নেই। তার কর্মময় জীবনের শিক্ষা আমাদের জাতীয় জীবনের শিক্ষা। বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং কাজী নজরুল ইসলাম এক ও অবিভাজ্য।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, প্রেম, দ্রোহ, সাম্য ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষষ। তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কালে তাঁর লেখনী গোটা ভারতবর্ষের মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছিল। সে পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিদ্রোহী চেতনা ফুটে ওঠে, তিনি পরিণত হন বিদ্রোহী কবিতে।

নেতৃদ্বয় বলেন, সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, অত্যাচার, নিপীড়ন, অনাচার, বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতন ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে আপসহীন সাহসী কণ্ঠে সোচ্চার হয়ে কবি লিখে গেছেন অসংখ্য কবিতা, গান, গল্প, সংগীত, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও অন্যান্য লেখা। আর সে কারণে ইংরেজ সরকার তাঁর গ্রন্থ ও রচনা বাজেয়াপ্ত করেছে এবং তাঁকে কারাদন্ডও দিয়েছে। কারাগারেও বিদ্রোহী নজরুল বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। টানা ৪০ দিন অনশন করে ব্রিটিশ সরকারের অন্যায়-অত্যাচার জেল-জুলুমের প্রতিবাদ করেছিলেন। কবি নজরুল একটি শোষণমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করে গেছেন। তিনিই প্রথম বাঙালি কবি, যিনি পূর্ণাঙ্গভাবে ভারতের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন।

তারা বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার অনন্য বাতিঘর। ভিন্ন ধর্মের অনেক সংগীত তাঁর লেখা। যা অসাম্প্রদায়িকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোড়ামির বিরুদ্ধে নজরুল সব সময়ই সোচ্চার ছিলেন। সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানুষ পরিচয়ই সবচাইতে বড় পরিচয় এই চেতনা ধারন করতেন।

কর্মসূচী : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আগামীকাল ২৭ আগস্ট ২০২১ শুক্রবার সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন ও ফাতেহা পাঠ করবে।