বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চলছে—সাতক্ষীরায় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম

সাতক্ষীরায় সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার মান সংরক্ষণে সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা এবং সাংবাদিকতার আচরণবিধি প্রতিপালন’সম্পর্কিত এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।
সেমিনারে সাতক্ষীরায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন,অপসাংবাদিকতার দেশ ভরে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণের সময় এসে গেছে। তবে বিচারিক সংস্থা হলেও প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা কম থাকায় আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সংখ্যা কম।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু যখন প্রেস কাউন্সিল গঠন করেন,তখন বিচারিক ক্ষমতায় কাউকে দণ্ডদেওয়া যেত না। শুধুমাত্র তিরস্কার করা যেত।এখনও সেই আইন বহাল রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সম্মান করতেন বলে বড় কোন শাস্তি তাদের জন্য রাখেননি। তবে এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আমরা দশ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতা চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এটা সংসদে পাশ হলে প্রেস কাউন্সিল শক্তিশালী হবে।

বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন,যখন প্রেস কাউন্সিল গঠিত হয়,তখন কেবল মুদ্রিত পত্রিকা বাজারে ছিল। তখন অনলাইন বা টেলিভিশনের আধিক্য ছিলনা। অনলাইন বা টেলিভিশনের সাংবাদিকদেরও প্রেস কাউন্সিলের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

সেমিনারে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ড. উৎপল কুমার সরকার বলেন,সাংবাদিকতা এখন করপোরেট হাউজের কাছে বন্দী। ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে মফস্বল সাংবাদিকরা কাজ করলেও তারা ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত।