বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন যারা

ক্রিকেট মানেই উন্মাদনা। আর বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই অন্যরকম উত্তাপ। বিশেষ করে ২০১৫ সালে ভারত বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারের পর থেকে এই উন্মাদনার শুরু। এরপর থেকে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হলেই টাইগারদের প্রতি বাড়তি প্রত্যাশা থাকে ভক্তদের। অপরদিকে ভারতও সতর্ক থাকে এই বুঝি কোনও অঘটন ঘটাতে চলল বাংলাদেশ।

তবে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের এবারই প্রথম ফাইনাল নয়। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মঞ্চে মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু আগের দুইবার শিরোপা ছুই ছুই করেও পা হড়কেছে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহদের। তবে এবার আর সেই পুনরাবৃত্তি চায় স্টিভ রোডসের শিষ্যরা।

পরিসংখ্যান বলছে, এশিয়া কাপে ভারত বরাবরই ফেবারিট, তবে বাংলাদেশেরও রয়েছে শিরোপা জয়ের ক্ষমতা। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন বলছে, আজকের ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন এমন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন।

তাদের মতে, বাংলাদেশের হয়ে এবারের এশিয়া কাপে খুবই ধারাবাহিক মুশফিকুর রহিম। আর ভারতের বিপক্ষে তার ব্যাট হাসে বরাবরই। তামিম-সাকিবের অনুপস্থিতিটা তিনি এখনো বুঝতে দেননি বাংলাদেশকে উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ব্যাটে ভর করেই ফাইনালে এসেছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ মিথুনও নতুন ক্রিকেটার হিসেবে ভাল করছেন। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় অস্ত্র কাটার স্পেশালিস্ট মুস্তাফিজুর রহমান। আর মাশরাফি-মাহমুদুল্লাহর রয়েছে অভিজ্ঞতা। নতুন বলে বাংলাদেশকে প্রতি ম্যাচেই ভাল শুরু এনে দিচ্ছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

ভারত সম্পর্কে তাদের বিশ্লেষণ- অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান বাংলাদেশের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। কারণ এই টুর্নামেন্টে দুইটি সেঞ্চুরি করেছেন ধাওয়ান আর রোহিতের ১টি। পাশাপাশি দিনেশ কার্তিক, কেদার যাদব, অমাবতি রাইদু ও ক্যাপ্টেন কুল খ্যাত ধোনিকে নিয়ে বড় ব্যাটিং লাইন আপ ভারতের। পাশাপাশি বোলিংয়ে বুমরাহ, ভুবনেশ্বর, চাহাল, যাদেজা ভাল ভূমিকা রাখবে।