বাংলাদেশ সীমান্তে আসছে মালয়েশীয় সেনাদের ত্রাণ মিশন

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি মানবিক-সহায়তা মিশন পাঠাবে মালয়েশিয়া।

এছাড়া রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য সীমান্তে একটি সামরিক হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। খবর রয়টার্সের।

বিবৃতিতে তিনি জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে শনিবার মিশনটি মালয়েশিয়া ছেড়ে যাবে।

মিশনটিকে ত্রাণ বিতরণে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস এবং মালিন্দো এয়ার সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী নাজিব বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর মিয়ানমারে সামিরক বাহিনীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া সরকারের অবস্থানের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন ত্রাণ মিশন পাঠানো হচ্ছে।

গত ২৫ আগস্ট ভোররাত থেকে রাখাইনে সীমান্তরক্ষী পুলিশের সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সংঘাত শুরু হয়। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হন। এর মধ্যে ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বাকিরা আনসার সদস্য ছিল।

এ ঘটনার পর মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী রাখাইনে বিতাড়ন অভিযান শুরু করে। তারা রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে হানা দিয়ে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করছে এবং দুই হাজার ৬০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে।

এ অবস্থায় রাখাইন থেকে প্রাণ বাঁচাতে গত ১৪ দিনে প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে শুক্রবার জাতিসংঘ জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় ৫৯ হাজার নিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছে। এছাড়া দেশটিতে অনিবন্ধিত রয়েছে আরও প্রায় দ্বিগুণ।