বাক প্রতিবন্ধী তাসলিমার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও
আব্দুল লতিফ, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : কথা বলতে পারেনা কানেও শুনে না। সমাজের সবাই তাকে বোবা বলেই জানে। এমন এক শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীত তাসলিমা খাতুন (১৫)। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। অন্যসব শিক্ষার্থীদের মতই পরিক্ষার খাতায় স্বাভাবিক উত্তর লিখে জানিয়ে দিলো নিজের ইচ্ছে শক্তি থাকলে পাহাড় সমান প্রতিবন্ধকতাকে মাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। ছোট একটি কাগজে লিখে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছিল সে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শিক্ষক হয়ে তার মত বাক প্রতিবন্ধীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে চায়। তাসলিামার স্বপ্নএ সংক্রান্ত একটি সংবাদ দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশ হয়েছিল। তার সে স্বপ্ন এক ধাপ এগিয়েছে ।বৃহস্প্রতিবার এসএসসি পরীক্ষার ঘোষিত ফলাফলে বি-গ্রেড (৩.২৩) পেয়ে পাস করেছে সে।
তাসলিমা টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের মধ্য কর্ণা গ্রামের দিনমজুর বদর উদ্দিনের মেয়ে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। তার দুই ভাই শাহ্ আলম (১৮) সিনহা (১০)। তাসলিমা প্রতিবন্ধী হিসাবে জন্ম নিলেও মেয়ের প্রতি যতেœর কমতি ছিলনা মা শাহীনা বেগমের। অস্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে হলেও বাবা-মার আগ্রহ আর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতায় সে উপজেলার মমরেজ গলগন্ডা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তার এ ফলাফলে খুশি মা-বাবা আত্মীয়-স্বজনসহ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু হানিফ খান ।
অস্বচ্ছল পরিবারের এই মেয়েটি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তার মা শাহিনা বেগম জানান, আমরা চাই সে লেখাপড়া চালিয়ে যাক। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় হিমিশিম খেতে হচ্ছে। তাই তার আশা পূরণে আমি সকলের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
এমন যখন মায়ের আকুতি ঠিক তখনই এগিয়ে এলেন ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন,তিনি জানান,আমার ব্যক্তিগত সাহায্য তো থাকবেই পাশাপাশি তাসলিমার স্বপ্ন পূরণে সরকারী ভাবেও সহযোগীতা করা হবে। আমরা আগামীকাল তার পরবিারের সাথে বসে কথা বলবো।সে যেন সারা জীবন সরকারী সুযোগ সুবিধা পায় তার জন্য প্রতিবন্ধী কার্ড করে দেব।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন