বড় মনিরের ধর্ষণকাণ্ডে বিব্রত জেলা আ. লীগ নেতারা

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণের মামলা হওয়ায় বিব্রত জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। অভিযুক্ত বড় মনির শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং ঠিকাদারি সমিতির সভাপতি।

জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এমপি ভাইয়ের নাম ভাঙিয়ে ও নিজের একাধিক পদ-পদবির দাপটে বেপরোয়া হয়ে গেছেন বড় মনির। ধর্ষণসহ নানা অপরাধে জড়িত মনিরকে শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি থেকে বহিষ্কারসহ উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ রকম ঘটনা লজ্জাজনক ও  আমরা বিব্রত। এর সত্যতা আছে কি না, সেটা পুলিশ তদন্ত করবে। তবে ষড়যন্ত্র হলে সেটাও বেরিয়ে আসবে।’

তবে এটাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে দেখছেন অভিযুক্তের ভাই তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি।

তিনি  বলেন, ‘শনিবার রাতে ওই মেয়েটি ভুল বুঝতে পেরে তুরাগ থানার মামলাটি তুলে নিয়েছে। মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খান পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে ফোর্স করে এ কাজ করিয়েছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রভাবশালী সাংবাদিক।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বর থেকে কল পেয়ে তুরাগ থানায় প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে বড় মনির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তরুণীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, তাঁকে জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

এর আগে টাঙ্গাইল সদর থানায় ২০২৩ সালে করা মামলার এজাহারে বড় মনির ধর্ষণের কারণে এশা মির্জা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে বর্ণনা করা হয়। ওই মামলায় তিনি কারাগারে গিয়ে পরে জামিন পান।

গত ৩০ জুন এশা মির্জা পুত্রসন্তানের জন্ম দিলে আদালতের নির্দেশে শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির জৈবিক (বায়োলজিক্যাল) পিতা গোলাম কিবরিয়া নন বলে উল্লেখ করা হয়। গত ১৮ নভেম্বর ওই ধর্ষণ মামলার বাদী এশা মির্জার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।