বাগেরহাটের শরণখোলায় আল-আমিন বেকারীকে ২লাখ টাকা জরিমানা

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের আল-আমিন নামে একটি বেকারীর কারখানায় পঁচা ডিম, কাপড়ের রঙ আর নোংরা পরিবেশে তৈরী হয়ে আসছে কেক, বিস্কুট সহ নানা খাদ্য দ্রব্য। অনেক দিন ধরে এসব খাদ্যপণ্য বাজারজাত হচ্ছে শরণখোলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের গ্রাম গুলোতে। এসব খাবার খেয়ে শিশুসহ বয়স্করাও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এমন অভিযোগের ভিতিত্বে (১৪ জুন) বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান চালিয়েছে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পান সংশ্লিষ্টরা। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুসের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করে কারখানা মালিক মো. মিজানুর রহমানকে।

এভাবে অস্বাস্থকর খাদ্য উৎপাদনের জন্য কয়েকবার জরিমানা দিয়েছে এই আল আমিন বেকারী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন আল আমিন বেকারী কারখানার ভেতরে পঁচা দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে ঢুকতে হয়েছে কারখানায়। এক পাশে হাজার হাজার পঁচা ডিম পাওয়া গেছে। কৌটা ভর্তি ক্ষতিকর কাপড়ের রঙ। যা দিয়ে তৈরী হচ্ছে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। কারখানার ভেতরের নোংরা মেঝেতে তৈরী করা নানা ধরণের খাদ্য পড়ে আছে। এসব খাদ্য চলে যাচ্ছে বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগঞ্জে। এমন অব্যবস্থাপনার কারণে কারখানার মালিককে সতর্ক করে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সৌরভ চন্দ্র বর্মণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, উপজেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সুকুমার চন্দ্র সিকদার, জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যাবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও জেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বাবুল সরদার, শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র প্রভাষক আ.মালেক রেজা , রায়েন্দা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।