বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবনসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।সুন্দরবনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে বন্যপ্রাণী। বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ

উপকূলীয় এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের, কখনো ভারি বৃষ্টিহচ্ছে।বৃষ্টিপাতওজোয়ারেরপানিতে শরণখোলার ধানসাগর,খোন্তাকাটা,রায়েন্দা,সাউথখালিসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ছোট ছোট পুকুর ও মাছের ঘের।

উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলার বলেশ্বর নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কমপক্ষে ৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উপজেলার সদরসহ নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে পানি বেড়ে শহরের বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে পানি উঠে যায়। অন্যান্য দিনের চেয়ে মঙ্গলবার পানির উচ্চতা ও চাপ বেশি দেখা গেছে। গ্রামের শত শত মানুষ ও গৃহপালিত পশু পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।কয়েক দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে শরণখোলার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। পানি বাড়ায় ফেরিঘাটের প্লাটুন ও রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি ভিড়তে এবং যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

কদমতলার বাসিন্দা জয়নাল হাওলাদার বলেন এই আবহাওয়ায় পেটের দায়ে বের হইছি ,কাম না করলে খামু কি ।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার সুন্দরবনে সবচেয়ে বেশি পানি বেড়েছে। গতকালের চেয়ে বেশি পানিতে তলিয়ে গেছে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ সুন্দরবন।