বাগেরহাটের শরণখোলায় সুন্দরবনে অপহরণের ৭ দিন পর ১১ জেলে উদ্ধার

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদ পাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের হরমা খাল ও বেড়ীর খাল এলাকা থেকে নয়ন বাহীনি নামধারী জলদশ্যুদের একটি দল গত ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিপনের দাবীতে ১১ জেলেকে অপহরণ করে।

অপহরণের ৭দিন পর বাগেরহাটের ৪টি থানার পুলিশের আলাদা আলাদা অভিযানে শরণখোলা থানা পুলিশ ৩ জন ও মোংলা থানা পুলিশ ৮ জেলেকে উদ্ধার করে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানায়, সুন্দরবনে জেলে অপহরণের খবর পেয়ে তার নির্দেশে বাগেরহাটের মোংলা, রামপাল, মেড়েলগঞ্জ ও শরণখোলার থানা অফিসার ইনচার্জদের জেলে উদ্ধারে অভিযানের নির্দেশ দেয়া হয়। তার নির্দেশে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ২০ ডিসেম্বর রাতে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জেলেকে উদ্ধার করে। অপর দিকে মোংলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ৮ জেলেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বেতকাটা গ্রামের হানিফ হাওলাদার(৪৮), কাশেপুর এলাকার (ডিমা) সোহেল মল্লিক(২৮), মোংলা উপজেলার দক্ষিণ বাজিকর এলাকার আছাদুল শেখ(৩২), খুলনার বৈঠাঘাটা এলাকার আকরাম শেখ(৪২), মোংলার হলদিবুনিয়া এলাকার আনিস শেখ(২২), একই গ্রামের মিলন শেখ(২৩), বটিয়া ঘাটার রফিকুল ইসলাম(৩৫), মোংলা এলাকার শুকুর আলী বেপারি(৩০), একই এলাকার মনির বেপারী(৩৬), রামপাল এলাকার বখতিয়ার বেপারী(৩৫) ও খুলনার রুপসা এলাকার অলি শিকদার(৪৮)। অপর দিকে সুন্দরবনে ব্যবসা বানিজের সাথে জড়িত বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান দীর্ঘদিন সুন্দরবনে কোনো বাধা ছাড়াই ব্যবসা বানিজ্য করে আসছি। সম্প্রতি জেলে অপহরণের বিষয়টি তাদেরকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।

পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক আরো জানায়, দীর্ঘদিন সুন্দরবন দস্যু মুক্ত থাকলেও আবার সংঘবদ্ধ একটি চক্র দস্যুতা শুরু করেছে। তবে দস্যু দমনে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।