বাড়ছে লাশের সারি, গাজায় নিহত ২৫ হাজারের বেশি

গাজার পাশাপাশি এবার পশ্চিম তীরেও উত্তেজনা বাড়ছে। রোববার (১৪ নভেম্বর) সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগ্যানাইজেশনের ওয়াসেল আবু ইউসেফ জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরের পরিস্থিতিও খারাপ হতে শুরু করেছে।

এদিকে গাজায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হচ্ছে, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭৮ জন নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।

সেখানে লড়াই থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরোধিতায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলেও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না। তার এমন মন্তব্যের পরই গাজা এবং পশ্চিমতীরে নতুন করে হামলা বেড়ে গেছে। এদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে, দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল স্পষ্টভাবেই ভিন্ন চিন্তা করছে।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সেখানে প্রতিদিনই বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালানো হচ্ছে। গাজায় এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল। বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। এই যুদ্ধে ইসরায়েলের নিয়মিত সেনা ছাড়াও রিজার্ভ সেনারা অংশ নিয়েছে। বাদ পড়েনি নারীরাও। সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি নারীরা বড় ভূমিকা পালন করছে।

ইসরায়েলের একটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ করার জন্য নারীদের আমরা নিয়ে আসতে পেরেছি, যা অত্যন্ত গর্বের। তিনি বলেছেন, নারীরা পুরুষ সেনাদের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।