বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খন্দকার মাহবুব হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে নয়াপল্টনে।

রোববার (১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আবুল হোসেন জানাজা পরিচালনা করেন।

এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাজাহান ওমর, উপদেষ্টা পরিষদের হাবিবুর রহমান হাবিব, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, আবেদ রাজা, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানাজার আগে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে সাধারণ মানুষের সুবিচার নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গনে অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। ফুসফুসে পানি আসায় গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তিনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তার পৈত্রিক বাড়ি বরগুনার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।

খন্দকার মাহবুব হোসেন ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদ পান।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই আসন থেকে এর আগেও অন্য দল থেকে একাধিক বার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।