বিচার কাজে প্রশাসনের গড়িমসি বলছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় বিচারের দাবিতে পুনরায় মানববন্ধন করেছে ক্লাইমেট এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (সিডিএম) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১:৩০ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিভিন্ন লেখা প্লেকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী সুমনের বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তাঁরা ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ ১০ কার্যদিবস পার হতে চললো আমরা এখনো কোনো সমাধান পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়ে অপর শিক্ষার্থীকে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করাই আমরা শঙ্কিত। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন আর গড়িমসি না করে এটাই প্রত্যাশা থাকবে।

কর্মসূচির এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। এক পর্যায়ে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো: হাফিজ উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরে উভয় পক্ষের থেকে ঘটনার বিস্তারিত প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে ফাইনাল রিপোর্ট দিবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।

আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আর্থিক খরচ বহন করবে বলে জানিয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে একটি লিখিত আবেদন দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রোটার‍্যাক্ট ক্লাব ও ফটোগ্রাফিক সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন একটি জায়গায় ফটো এক্সিবিশন ‘আরণ্যক – ARANNYAK’ অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ৭ মার্চ সন্ধ্যায় রঙ করা ককশিট কুড়িয়ে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকস্থ যুথি-বীথি হোটেলের সামনে সুমন কুমার মণ্ডল নামের এক ছাত্রকে সজোরে থাপ্পড় মারেন আকিব ইবনে সাঈদ।

এ সময় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ভুক্তভোগী ওই ছাত্র। এরপর তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। ভুক্তভোগী সুমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট এন্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (সিডিএম) বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র।

অভিযুক্ত আকিব ইবনে সাইদ অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (এআইএস) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, এআইএস ক্লাবের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এআইএস বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।