বিজিএমইএ ভবন সিলগালা

রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এই ভবন সিলগালা করে দেয় রাজউক। এর আগে, ভবনে থাকা মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়। এর পর সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বিজিএমইএ ভবনটি সিলগালা করে দেয়া হয়।

জানা যায়, বিজিএমইএ ভবনে থাকা বিভিন্ন অফিসের মালামাল সরাতে চার দফায় বিজিএমইএ’কে সময় দেয় রাজউক। যা মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হয়। এর ১৫ মিনিট পর বিজিএমইএ ভবনটি সিলগালা করে দেয় রাজউক।

এর আগে, বিকেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, আইনের ভিত্তিতে বিজিএমইএ ভবনের অফিস অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা যে অপসারণ শুরু করেছি এটাও ভবন ভাঙার অংশ। তাছাড়া এখানে টেকনিক্যাল ও ম্যানেজমেন্টের বিষয় আছে এগুলো শেষ হলেই আমরা ভবন ভাঙার কাজ শুরু করবো। এই বড় ভবনের নানা বিষয় দেখতে হচ্ছে, এখানে অনেকগুলো ব্যাংক আছে সেটাও দেখতে হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে পারবো এ কাজে মূল সহযোগী হবে চায়না এক্সপার্টরা।

হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক রায়হান ফেরদৌস জানান, মালামাল সরানোর পর আমরা ইউলিটি সেবা গ্যাস, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর আমরা ভবন ভাঙার কাজে হাত দেবো।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় এ ভবনটি অপসারণের কাজ করা হবে। এর আগে র‌্যাংগস ভবন ভাঙতে গিয়ে প্রাণহানি ঘটে। তবে এ ভবন ভাঙতে ডিনামাইট বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। এ কাজে সহায়তা করবে চায়না এক্সপার্টরা। বিজিএমইএ ভবন অপসারণে আপিল বিভাগের দেয়া এক বছর সময় শেষ হয়েছে গত ১২ এপ্রিল। গত বছরের ২ এপ্রিল সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অপসারণে তৈরি পোশাক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএকে এক বছর ১০ দিন সময় দেন।

এরপর চলতি মাসে (৩ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনের উদ্বোধন করেন। সেখানে ১৩তলা বিশিষ্ট দু’টি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। ওই ভবনের দু’টি ফ্লোরে অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে ওই ভবনের পুরো কাজ শেষ হবে।