বিজয় সমাবেশ : স্মরণকালের সর্বোচ্চ উপস্থিতি চায় আ.লীগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এ জয় উদযাপনে শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় সমাবেশে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

দলের নেতারা জানান, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে গত ১০ দিন কাজ করা হচ্ছে। দফায় দফায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা প্রস্তুতি সভায় মিলিত হয়েছেন। ঢাকা ও আশপাশের জেলার নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন আর পোস্টার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, সরকারের উন্নয়ন চিত্র, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিভিন্ন চিত্র সংবলিত এ সব ব্যানার-ফেস্টুন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ডগুলো শোভা পাচ্ছে ভিআইপি সড়কগুলোতে। ‘গ্রাম হবে শহর’, ‘প্রবৃদ্ধির জন্য অবকাঠামো’, ‘নিরাপদ ও শান্তির দেশ’ ইত্যাদি স্লোগানে সেজেছে শহর। রাস্তার মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা খোচিত প্রতিকৃতি।

নেতারা জানান, আগামীকাল বিজয় সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ওই সমাবেশ থেকে আগামী দিনে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরবেন সরকার প্রধান। তাই এ সমাবেশ গুরুত্ব বহন করছে। ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার সমাবেশস্থলে প্রস্তুতি দেখতে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশে তৈরি হয়েছে বিশালাকৃতির মঞ্চটি। মঞ্চের সামনে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার মঞ্চের সাজ-সজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করেছে ডেকোরেটরের লোকেরা।

সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসের মতো বিষয়ে নেতাকর্মীসহ সবাইকে হুঁশিয়ার করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের দিক নির্দেশনাও দেবেন তিনি। এ ছাড়া ২০২১ সালের উন্নয়ন পরিকল্পনাও তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী।’

আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন জানান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বেলা ১২টার দিকে বিজয় সমাবেশ শুরু হবে। নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) বেলা দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে সমাবেশে যোগদান করবেন। তারপরই সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হবে।

বিজয় সমাবেশের দিন শনিবার বেলা ১২টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সব প্রবেশদ্বার খোলা থাকবে জানিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ১২টা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা আরও আশা করছি, সমাবেশে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ লোকসমাগম ঘটবে।’