বিদায়ী বছরে যেসব ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখেছে বিশ্ব

গত দু’বছর ধরে করোনার সঙ্গে লড়াই করছে গোটা দেশ। সেই অবস্থায় মরার ওপর খারার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়।

২০২১-এ ঘূর্ণিঝড়, হিমবাহ ধস, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ভূমিকম্প—সব কিছুর সাক্ষী হয়েছে বিশ্ব। মে মাসে ঘূর্ণিঝড় তকতের আঘাতে ভারতে প্রাণ হারান দুই শতাধিক মানুষ। আগস্টে ক্যারিবীয় দেশ হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মারা যান প্রায় আড়াই হাজার।

বছরের শেষ দিকে এসে সুপার টাইফুন রাই-এর আঘামে মারা যান ৩৭৫ জন। একই মাসে টর্নেডোর আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারান ৯০ জন। পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় একটি শহর।

২০২১ সালের ১৭ই মে। ভারতের গুজরাট উপকূলে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তক্তে। ঝড়ের প্রভাবে দেখা দেয় ভারি বৃষ্টিপাত। বন্যা ও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণ হারান দুই শতাধিক মানুষ।

একই বছরের জুলাই মাসে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে প্রতিবেশী দেশ চীন। পানিতে তলিয়ে যায় বহু এলাকা। বন্যার পানিতে নিখোঁজ হন অনেকে। বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণ হারান তিন শতাধিক মানুষ।

একই মাসে বিরল বন্যার কবলে পড়ে জার্মানি। ভারী বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারান ২শ’৩০ জন। পানিতে তলিয়ে যায় ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে বহু স্থাপনা। জার্মানির পাশাপাশি বন্যার কবলে পড়ে প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়াম।

২০২১ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়াবহ প্রাণহানির শিকার হয় যুক্তরাষ্ট্র। বছরের শেষ দিকে দেশটির কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে তাণ্ডব চলায় শক্তিশালি টর্নেডো।

১৮৯০ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ এই টর্নেডোর আঘাতে প্রাণ হারান ৯২ জন। ধ্বংস হয়ে যায় একটি শহর। একই বছরে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে যায় হারিকেন আইডা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মারা যান ৯০ জনের বেশি মানুষ।

চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির শিকার হয় ইন্দোনেশিয়া। তেসরা এপ্রিল দেশটির পূর্বাঞ্চলে সাইক্লোন সেরোজার আঘাতে প্রাণ হারান দু্ই শতাধিক মানুষ।

একই বছরের চৌঠা ডিসেম্বরে হঠাৎ জেগে উঠে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। শুরু হয় লাভা উদগীরণ। প্রাণ হারান অর্ধশত মানুষ। ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি দেশ লাভা উদগীরণে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়।

বছরের মাঝামাঝিতে ক্যারিবীয় দেশ হাইতে আঘাত হানে সাত দশমিক দুই মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। ধ্বংস হয়ে যায় বহু বাড়ি-ঘর। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে প্রাণ হারান প্রায় আড়াই হাজার মানুষ।