বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অব্যবস্থাপনায় নির্বাহী প্রকৌশলীকে হুঁশিয়ারি প্রতিমন্ত্রীর

সিলেটের বরইকান্দিতে অবস্থিত উপকেন্দ্র ও নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দিতে অবস্থিত উপকেন্দ্র ও নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়টি পরিদর্শনকালে অফিস চত্বরে অবস্থিত উপকেন্দ্রের বেহাল দশা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

এ সময় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্র পালকে সতর্ক করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

প্রতিমন্ত্রী নির্বাহী প্রকৌশলীর সার্ভিসে হতাশা প্রকাশ করে জানতে চান, কতদিন ধরে এই পদে আছো? চার বছর, জবাব পেয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সংশোধন হয়ে যাও- তা না হলে সিলেটে থাকতে পারবা না।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিন দিনের সরকারি সফরে সিলেট রয়েছেন। তার নির্ধারিত সিডিউলে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি ছিল না। তিনি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আকস্মিকভাবে ঢুকে পড়েন।

সরেজমিন দেখা যায়, হাইভোল্টেজ উপকেন্দ্রটির ট্রান্সফরমারগুলো থেকে লুবওয়েল চুয়ে পড়ছিল। দীর্ঘদিন ধরে যে চুয়ে পড়ছে, তা সহজেই অনুমান করতে পারবে যে কেউ। ট্রান্সফরমারগুলোতে কালসিটে দাগ বসে গেছে, নিচেও তেল পড়ে নোংরা স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেছে। চুয়ে পড়া তেল ধরার জন্য খালি পানির বোতল বসিয়েছে। আর মাকসড়ার জালের একাধিক আস্তরণ তাতে শুকনো পাতা আটকে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অফিস ভবনের পাশের রঙচটা ভবনটি কী কাজে ব্যবহৃত হয় জানতে চান প্রতিমন্ত্রী। নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এটি একটি অভিযোগকেন্দ্র।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে এটি একটি পরিত্যক্ত ভবন। কোনো যত্ন নেই, এত দায়িত্বহীনতা সহ্য করা হবে না। পতাকাবাহী গাড়ি দেখে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি এগিয়ে এসেছিলেন। তারা অভিযোগকেন্দ্রের নাম শুনেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বলেন, জীবনে কোনোদিন ফোন দিয়ে তাদের পায়নি। তারা কেউ ফোন ধরেন না, লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না।

পরিদর্শনকালে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।