বিশ্ববিদ্যালয় চমৎকার শিক্ষা দান করে জ্ঞান এবং মেধা মানুষকে সমৃদ্ধ করে- খোকন সেরনিয়াবাত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন প্রচারণা কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি’র) মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত।

২ জুন শুক্রবার বিকাল ৪ টায় বরিশাল নগরীর আমতলার মোড় সংলগ্ন লায়লা কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন প্রচারণা কমিটির আহবায়ক ড.মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা অমিত হাসান রক্তিমের সঞ্চালনায় উপস্থিত প্রধান অতিথি ‘র বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বিসিসি’র নৌকার মেয়র পদপ্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, একসময় অনেক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক ছাত্র নেতা শিক্ষা গ্রহণ করেন। এটা আমি আপনি অবগত আছি।এবং এটা আমি দেখেছি তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছিল।আমরা আমাদের যে বরিশালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ;কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় হলেই তো হবেনা!

বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু মানুষের চমৎকার শিক্ষা দান করে। জ্ঞান এবং মেধা সর্বোপরি মানুষকে সমৃদ্ধি করে এবং মানুষের বিকাশিত হওয়া যায়।আমি খুব বেশি লেখা পড়া করতে পারিনি।কিন্তু বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্ন মানুষের সাথে আমি কথা বলেছি এবং বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি আমি সেখানে গিয়েছি এবং দেখেছি।ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক তাদের। আমার বাবার বড় ইচ্ছা ছিলো তিনি আমাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন কিন্তু অতন্ত্য মর্মান্তিক ঘটনায় আমার বাবা মৃত্যু বরণ করেন।

আপনারা সবাই অবগত আছেন ১৫ ই আগষ্টের হত্যা কান্ড।এখানে আমিও সাক্ষী ছিলাম, আমার পায়েও গুলিবিদ্ধ হয়েছে আমি আগর তলায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আমি কোলকাতায় যাই। আমার এই শেষ বয়সে এসে আমার আর চাওয়া পাওয়া বলতে কিছুই নেই। আমার দুটি সন্তান তারা দুজনেরই অত্যন্ত মেধাবী এবং উচ্চ শিক্ষায় সুশিক্ষিত। আমি আমার বাবার ইচ্ছে আমার সন্তানের মাধ্যমে পূরন করেছি এর বেশী আমার আর কি বা চাওয়া পাওয়ার থাকতে পারে আপনারাই বলুন?

আমি আমার বাবার ন্যায় সৎ ভাবে জীবন যাপন করে আসছি তার মতনই আমিও এই অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত বরিশাল নগরবাসীর জন্য কিছু করে যেতে চাই। ক্ষমতার লোভ আমার থাকলে আমার অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমি রাজনীতিতে প্রবেশ করিনি এবং আমি কখনোই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই এই পরিচয়ে কোথায় কখনো কোনো প্রভাব কিংবা নিজেকে ক্ষমতাধরদের মতন উপস্থাপন করিনি। আমাকে বরিশাল নগর বাসীর প্রয়োজনে বরিশাল সিটির উন্নয়নের জন্য মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দলীয় মনোনীত প্রার্থী করে আপনাদের মাঝে পাঠিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে বরিশাল নগরবাসিদের সাথে নিয়ে সারা দেশে চলমান বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে তারই ধারাবাহিকতায় বরিশাল সিটিকে একটি আধুনিক সমৃদ্ধশালী স্মার্ট নতুন বরিশাল গড়বো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের ভালোবাসা সমর্থন এ নগরের উন্নয়নের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন আমি আপনাদের সাথে কোন মিথ্যার আশ্রয় নেবো না আমি নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রীয় সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

২৪ ঘন্টা নাগরীক সেবা প্রদানে দৃষ্টান্ত হিসেবে বরিশাল কে নিয়ে মানুষ গর্ব করবে শুধু আপনাদের দোয়া এবং নৌকা মার্কার সমর্থনই এসব সম্ভব হবে বলে উপস্থিত সকলকে তার আন্তরিক ধন্যবাদ শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের জন্য জনগণের পাশে থাকার আহবান জানিয়ে আগামী ১২ জুন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার অনুরোধ করে তার বক্তব্য শেষ করেন।অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাডঃবলোরাম পোদ্দার, আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক- সাজ্জাদ সাকীব বাদশা,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সদস্য জহিরুল ইসলাম শাহিন,ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মিলি,নৌকার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আব্দুল কাউয়ুম,বরিশাল জীব বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের মোঃ শফিউল আলম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবু জাফর মিয়া,অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার বাহাদুর,দিদারুল হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার তামান্না শারমিন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি তিলোত্তমা সিকদার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭-২০ গ্রেডের কর্মচারী কল্যান পরিষদের সাবেক সভাপতি হাসানুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।