বৃটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসনের পদত্যাগ

পদত্যাগ করেছেন বৃটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যাভিন উইলিয়ামসন। তার বিরুদ্ধে দলের এমপিদের গালাগাল দেয়ার অভিযোগ আনার প্রেক্ষিতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

দায়িত্ব পাওয়ার অল্প কয়েক দিনের মাথায়ই তার এই পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের উপর ভরসা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। গত অক্টোবরে মাত্র দুই মাসের মধ্যে বৃটেনের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুনাক।

সে সময় তিনি সরকারে স্থিতিশীলতা এবং পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কারণ তার দুই পূর্বসূরী লিজ ট্রাস ও বরিস জনসনের ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয়ের অভাবই সবথেকে বেশি দেখা গেছে।

তবে এখন সরকার থেকে হুট করেই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন পদত্যাগ সুনাকের প্রতিশ্রুতি রক্ষাকে কঠিন করে তুললো। গ্যাভিন উইলিয়ামসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, গত মাসে তিনি তার দলেরই এক এমপিকে গালাগালি করে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং জ্যেষ্ঠ এক আইনপ্রণেতাকে বুলিং করেছেন। পদত্যাগপত্রে উইলিয়ামসন লিখেছেন, তিনি ‘অত্যন্ত মনোবেদনা’ নিয়ে সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

পরে এক টুইটার পোস্টে সদ্য পদত্যাগকারী এ মন্ত্রী লিখেছেন, তিনি সরকারের কাছ থেকে চাকরিচ্যুতি বাবদ পাওনা অর্থ নেবেন না। এগুলো বিভিন্ন সরকারি সেবা কাজে ব্যবহার করা হবে।

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, তিনি অত্যন্ত মনোবেদনা নিয়ে গাভিন উইলিয়ামসনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। ব্যক্তিগত সমর্থন ও আনুগত্য প্রকাশের জন্য সাবেক এ মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

উইলিয়ামসন জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যথাযথ তদন্তে সহযোগিতা করতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ৪৬ বছর বয়স্ক উইলিয়ামসন বেশ কদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে চাপের মধ্যে ছিলেন।

পদত্যাগপত্রে উইলিয়ামসন লিখেছেন, এক সহকর্মীকে বার্তা পাঠানোর ঘটনায় যে অভিযোগপ্রক্রিয়া চলমান, তিনি তার সঙ্গে সংগতি রেখে চলবেন। ওই সব বার্তা যাকে পাঠানো হয়েছিল, তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। তার পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী লেবার দল বলেছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই পদত্যাগ একজন দুর্বল প্রধানমন্ত্রীর অক্ষমতার প্রতিফলন।