ব্রাসেলস সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’ এ যোগদান শেষে শুক্রবার দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ২৪ অক্টোবর ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলস সফরে যান।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুক্রবার সকাল ১১টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এসময় বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।এসময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন। দেশে ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী বিমানে ঘুরে ঘুরে যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

এর আগে বিমানটি বেলজিয়ামের ব্রাসেলস জাভেনটেম বিমানবন্দর থেকে ব্রাসেলসের স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দেশের পথে যাত্রা করে।

এদিকে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন।
২৫ অক্টোবর সকালে তিনি ইসি’র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইসির মধ্যে একটি ১২ মিলিয়ন ইউরোর অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এই সফরকালে বাংলাদেশ সরকার এবং ইসি বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি ভিন্ন অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করে। একই দিন ২৫ অক্টোবর শেখ হাসিনা ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’র উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন এবং ভাষণ দেন।