ভারে বাতিল মেসির গোল, ক্ষেপেছেন আর্জেন্টিনা কোচ

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম পয়েন্ট খোয়াল আর্জেন্টিনা। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে খেলতে নেমে জিততে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা। লড়াকু মনোভাবের দল প্যারাগুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠে ড্র করেছে ১-১ ব্যবধানে।

আর্জেন্টিনার রাজধানী শহর বুয়েন্স আয়ারসের আলবার্তো হোসে আরমান্দো স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে হওয়া ম্যাচটিতে প্রথমে ২১ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে গোল করে প্যারাগুয়ে। পরে ৪১ মিনিটের সময় সেটি শোধ করে আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। কিন্তু একের পর আক্রমণ সাজিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাননি মেসি, ডি মারিয়ারা। তবে বল একবার ঠিকই জালে জড়িয়েছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। তবে ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর/ভার) দেখে সেটি বাতিল করে দেয়া হয়।

ঘটনা ম্যাচের ৫৮ মিনিটের সময়। নিজেদের অর্ধ থেকে বল সাজিয়ে আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে সমতাসূচক গোলের এসিস্টদাতা জিওভানি লো সেলসোর ব্যাকপাস ধরে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি জায়গা থেকে বল জালে জড়ান মেসি। দলকে এগিয়ে নেয়ার আনন্দে ভাসার আগে মেসিদের পড়তে ভার পরীক্ষায়।

যেখানে দেখা যায়, এই আক্রমণের শুরুতে নিজেদের অর্ধে প্যারাগুয়ের ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেল রোমেরোকে ফাউল করেছিলেন নিকোলাস ডমিঙ্গেজ। যে কারণে মেসির করা এই গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। ম্যাচের বাকিসময়ে আর গোল করা হয়নি আর্জেন্টিনার। ফলে ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ গোলের ড্র’তে।

এছাড়া ২১ মিনিটের সময় আর্জেন্টিনার হজম করা গোলটি ছিল পেনাল্টি, মার্টিনেজের করা সেই ফাউলে ভিডিও এসিস্টট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেননি রেফারি, সরাসরি বাজিয়েছেন পেনাল্টির বাঁশি। এটি নিয়েও কথা বলেছেন আর্জেন্টিনা কোচ।

তার মতে, কখন ভিএআর ব্যবহৃত হবে আর কখন হবে না- এ নিয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। স্কালোনির ভাষ্য, ‘আমি মনে করি, ভিএআরের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্টঁ সিদ্ধান্তে আসা উচিত। আমি বলছি না এটা ভাল না খারাপ কিংবা অনাস্থাও প্রকাশ করছি না। তবে এর মানদণ্ডগুলো একত্রিত করার কথাই বলছি।’

পেনাল্টিতে গোল হজমের খানিক পরেই খেলার ধারার বিপরীতে ২৯ মিনিটের সময় একটি পরিবর্তন আনতে হয় আর্জেন্টিনা কোচকে। এজেকুয়েল পালাসিওকে তুলে জিওভানি লো সেলসোকে নামান স্কালোনি। পরে ৪১ মিনিটের সময় লো সেলসোর এসিস্টেই বল জালে জড়ান গনজালেজ।

ম্যাচে ফিরে আসে সমতা। এই পরিবর্তনের বিষয়ে আর্জেন্টিনা কোচের ভাষ্য, ‘নিকোলাস গনজালেজকে যথাসময়ের ব্যবহারের চিন্তা আমাদের মাথায় সবসময়ই ছিল। আমরা বিশ্বাস করি যে, সে এই দায়িত্বটা নিতে পারবে। গুরুত্বপূর্ণ গোলটা সেই করেছে, এটা আনন্দের বিষয়। সে নিজের মতো করেই খেলেছে, এটা আমার ভালো লেগেছে।’

তবে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার পাত্র নন আর্জেন্টিনা কোচ। তার ভাষ্য, ‘আমরা তিক্তমধুর অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়ছি। কারণ আর্জেন্টিনা জেতার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা প্রতিপক্ষকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছি। দলের এটিচ্যুডকেও সম্মান জানাতে হবে আমাদের। যারা সবসময় জয়ের কথাই ভাবে।’