ভাষা আন্দোলনেই স্বাধীনতার বীজ রোপন হয়েছিল : মোর্ত্তজা

ভাষা আন্দোলন আমাদের গর্ব। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বাধীনতার বীজ রোপন হয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা।

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আনোয়ার জাহিদ মিলনায়তনে মহান ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অমর একুশের সংগ্রামে শহীদ ভাষা সংগ্রামী রফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারের পূণ্যস্মৃতি ও চেতনাকে বুকে ধারণ করেই একাত্তরেও আমাদের দেশের লাখ লাখ মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে শত্রুমুক্ত করেছেন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে। তারা পৃথিবীকে দিয়েছেন লাল সবুজের পতাকা সংবলিত একটি মানচিত্র। দিয়েছেন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র।

তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ জননী-জায়া-কন্যার সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে লাল-সবুজের পতাকা উড্ডীন হয়েছে মূলত ভাষা আন্দোলনের উৎসসূত্রে।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, একুশ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি। এখান থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আন্দোলনের সূত্রপাত। বাঙালি জাতির ঐতিহ্যময় ও গৌরবের ভাষা আন্দোলনের মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার ওপর তার প্রভাব অনস্বীকার্য। ভাষার জন্য আন্দোলন করে জীবন উৎসর্গ বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। মহান একুশ পৃথিবীর ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে আছে আপসহীন সংগ্রাম ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে। তাই একুশ হোক সকল অনৈক্য সংঘাত ও অশান্তির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ হাতিয়ার।

হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, একুশের শহীদদের আত্মবলিদান বাঙালিকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সাহস জুগিয়েছে। এ সাহসই ছিল ১৯৭১ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। আর বাংলাভাষী জনগণের জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই প্রেরণাকে বুকে লালন করতে হবে।

মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, আমরা আজ এমন এক সময় ভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছি যখন দেশে দুর্নীতি ভয়াবহ ক্যান্সারে পরিনত হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার সংকোচিত।

এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, সোনার বাংলা পার্টি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, দলের ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মো. আবদুর রহিম জাহিদ, হায়াত মাহমুদ, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া প্রমুখ।