ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রমে জাতিসংঘ-বাংলাদেশ সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্বাক্ষর হলো ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মধ্যে মানবিক কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে জাতিসংঘ-বাংলাদেশ সমঝোতা স্বারক। এর ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা- ইউএনএইচসিআর।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে সমঝোতা স্বারক হয়।

ভাসানচরে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল ইউএনএইচসিআর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে। এ চুক্তির মাধ্যমে কক্সবাজারের মতো ভাসানচরেও সার্বিক মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে ইউএনএইচসিআর।

এ সমঝোতা চুক্তি বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে মনে করছেন ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি। তিনি বলেন, ‘আমরা কিভাবে ভাসানচরে কাজ করব তার রূপরেখা থাকছে এ সমঝোতায়। কক্সবাজারের মতো ভাসানচরেও আমাদের মূল লক্ষ্য হবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত করে তোলা।’

এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ খুন হন। সে সময় ক্যাম্পের নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর গুলি চালায়। যার তিনটি লাগে তার শরীরে।

স্বজনরা জানান, ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শার্ট-প্যান্ট, মুখে মাস্ক পরে ও হাতে অস্ত্র নিয়ে ১০-২০ জন অফিসে ঢুকেই গুলি করে পালিয়ে যায়। যারা গুলি করেছে তাদের অনেকের পরিচয় জানা গেছে। যারা গুলি করেছে তারা রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে কয়েকজনের মুখ চেনা আর কয়েকজনকে চেনা যায়নি। তবে সবাই ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা, দিনে তারা সবাই ক্যাম্পে ঘোরাফেরা করে। তার এই মৃত্যু ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত করে তুলেছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের।

পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিুল্লাহ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। তবে মামলায় কোনো নাম উল্লেখ করা হয়নি। সব আসামি অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সেই সময় বাস্তুচ্যুত অন্য রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিলেন মুহিবুল্লাহ ও তার পরিবার।