‘ভোট বর্জন’ সফল: মঈন খান

‘একতরফা’ এ নির্বাচনে ‘ভোট বর্জনের’ ডাক সফল হয়েছে দাবি করে এতে সাড়া দেওয়ায় ভোটারদের ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খান।

রোববার দুপুর পর্যন্ত ভোট দেয়ার তথ্যের খবরের ভিত্তিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য সংবাদমাধ্যমের কাছে এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

গুলশানে নিজের বাসায় ভোটের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের টেলিভিশন (গণমাধ্যম) ক্যামেরার ছবি কথা বলে। আমি বলছি যে, হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ছবি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনারা দেখতে পারছেন। কুকুরের ছবি দেখতে পারছেন, ভোটকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে-শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে। সেই ভোটকেন্দ্রের নাম হচ্ছে ঢাকা শহরের মেরাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র।

তিনি বলেন, এই যে পরিস্থিতি, সিংহভাগ ভোটকেন্দ্র প্রায় ভোটার শূন্য অবস্থায়। বিশ্বের মানুষ দেখছে, দেশের মানুষ দেখছে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ বর্জন করেছে।

শুধু বিএনপি নয়, ৬২টি রাজনৈতিক দল ‘প্রহসনের নির্বাচনকে’ বর্জন করেছে দাবি করে তিনি বলেন, তাদের সকলের পক্ষ থেকে আমি আজকে বাংলাদেশের মানুষকে স্যালুট জানাব একটি মাত্র কারণে যে, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের প্রশ্নের কোনো দিন আপোষ করেনি, এবারও করবে না।

ভোট বর্জনের আন্দোলন সফল হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নে মঈন খান বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে। এখানে আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই, এই আন্দোলন শুধু রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ যে লগি-বৈঠার আন্দোলন করে সেই লগি-বৈঠার আন্দোলন আমরা করি না।

তিনি বলেন, সরকার এই নির্বাচনের আগে ভেবেছিল তাদের মন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেছিল যে, বিএনপি থেকে একশ-দেড়শ নামি-দামি নেতা নিয়ে যাবে এবং তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাবে। তারা কয়জনকে নিতে পেরেছে? একজনকে নিতে পেরেছে।

কী লোভ-লালসা দিয়ে তাকে নিয়েছে সেটা আমি এখানে ব্যাখ্যা করতে চাই না। তাহলে সরকারের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে।

২৮ অক্টোবর শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের হামলার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, সেই দিন থেকে আজকে পর্যন্ত ৬৯ দিনে তারা (সরকার) আমাদের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে ভুয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। এরপরও কি আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার পেরেছে? পারে নাই। তারা একটা ভুয়া নাটক সাজিয়েছে। ২০১৪ সালেও নাটক সাজিয়েছিল বিএনপি না কি আইএস হয়ে গিয়েছে, বিএনপি নাকি তালেবান হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এটা ওদের একটা অপ্রচার ছিল বিদেশিদের বোঝাতে।