ভোলার ইলিশায় ঝুকিপুর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচল!

ভোলা সদর উপজেলার অদূরে ইলিশা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ঘন বসতি এলাকার চরানন্দ গ্রামের জংশন হতে রোদ্রের হাট ক্লোজার সড়কের উপর নির্মিত পন্ডিতের খালের উপরের সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে প্রায় এক বছর ধরে। আশপাশের অন্তত ১৫ গ্রামের হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু পার হচ্ছে।

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭/৮৮ সালে জেলা সদরের ইলিশা ইউনিয়নের পাটওয়ারি খালের ওপর নির্মিত হয়। এই সেতুটি গত এক বছর বেহাল দশা ও ঝুকিপুর্ন হওয়ায় এর পাশে নতুন একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট এলজিইডি দপ্তরের প্রতি স্থানীয়রা দাবী জানিয়েছেন। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রায় ৬ মাস আগে সেতুটি নিজ উদ্যেগে সামান্য চলাচলের ব্যবস্থা করেন হাসনাইন আহাম্মেদ হাসান চেয়ারম্যান সহ স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহর থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে ২৮ বছর আগে এ সেতু নির্মাণ করা হয়।

বর্তমান ঝুকিপুর্ণ সেতুটির প্রশস্ততা কম থাকায় শুরু থেকেই বড় ধরনের কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এতে আশপাশের গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত শস্য ছোট ছোট ট্রলি, টেম্পো কিংবা রিকশা-ভ্যানে করে হাটবাজারে নিতে হয়। তবে এখন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে,তবে নতুন ব্রিজ না হওয়াতে যানবাহনে স্থানীয়দের দ্বিগুণ ভাড়া নিয়ে খাদ্যশস্য হাট বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির কোন প্রান্তেই টাঙানো নেই ‘সাবধান! ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ’ লেখাসংবলিত সাইনবোর্ড,তবে ব্রিজ দেখলেই মনে হয় এযেন এক মরণ ফাঁদ। সেতুটির স্তম্ভসহ বিভিন্ন অংশ ক্ষয় হয়ে ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। এরপরও সেতুর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন ও এলাকাবাসী চলাচল করছে। যে কোন যানবাহন উঠলেই সেতুটি কেঁপে ওঠে।

এ ব্যাপারে ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী রাজাপুর ইউনিয়ন সহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে ভোলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির পাশে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণের বিষয়টি ইউনিয়ন বাসীর দাবি। এ নিয়ে উপজেলায় একাধিক মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা করা হয়েছে এবং ত্রানের ব্রিজ কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের তালিকায় সংযুক্ত করা হয়েছে কিন্তু অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে নতুন সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয়।’

এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ব্রিজটির ক্ষুদ্র মেরামত করে সাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। এ ব্রিজটির জন্য স্টিমিট করেছি তবে নতুন অর্থবছরে নতুন বরাদ্দ করে খুব শীঘ্রই নতুন একটি সেতুর নির্মাণকাজের ব্যবস্থা করা হবে।’