ভোলা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়চ্ছে

সদর হাসপাতালে দিনদিন, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের ভিড়। গত ১৫দিন যাবত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনিই এখানে গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন করে রোগী ভর্তি হলেও আজ তার প্রায় দ্বিগুনের চেয়ে রোগী চিকিৎসারত আছেন।
মৌসুম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সাধারন মানুষে মধ্যে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা।

ইতোমধ্যে হাসপাতালে রোগীদের চাপ থাকায় বেশিরভাগ রোগীকে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। গরমে ডায়রিয়া থেকে সাবধান থাকতে খাবারের ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে বিশেষ করে শিশুদের বেশি যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে গরমের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিভাগ।

ভোলা সদর হাসপাতালে ডায়েরি রোগীদের জন ১০টি শয্যা রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে রোগীর সংখা বাড়তে শুরু করেছে।গত ২৪ ঘন্টায় তা দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড়-শতাধিক এর উপরে। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও মধ্য বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। ভোলার সদর হাসপাতালে মত অন্যান্য উপজেলায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মেঝেতে থাকা হালিমা নামে রোগীর এক স্বজন জানান, গতকাল থেকে বাচ্চার ডায়রিয়া ও বমি দেখা দেয়। আজ সকালে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে এসছি, তার চিকিৎসা চলছে।

ভোলার ইলিশার থেকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে আশা নাইমা (৪) মায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন সকাল ১০টার সময় ভর্তি হইছি। সিট নাই নার্স স্যালাইন দিয়ে গেছে।

ডায়রিয়া রোগী রাকিব জানান, তিনি সদর উপজেলার কাচিয়া থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

সদর উপজেলার দিঘলদী থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রাবেয়া বলেন, আমার ৬ বছরের মেয়ের ডায়েরি হয়েছে তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এখানে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় মেঝেতে বসতে হয়েছে।

ভোলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসরিন বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের চাপ বেশি থাকায় আমাদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখানে ডায়রিয়ার ১০টি বেডে বর্তমানে রোগী আছেন ১৩০জন। আর আমদের নার্স রয়েছে মাত্র ২ জন। আমরা রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

ভোলার সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, এপ্রিল মাসে ডায়রিয়া আক্রান্ত এটা স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত ভোলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত সংখ্যা ঝুঁকিতে যায়নি। ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ-স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে। গরমের কারণে ডায়রিয়া বেড়েছে। তবে এর প্রকোপ তেমন বেশি নয়, আক্রান্ত নিয়ন্ত্রণে আছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলা সদর হাসপাতাল ও ৬টি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে ১৩০ জন রোগী। এই ১৩০জন রোগীর মধ্যে ৪১ জন রয়েছে শিশু এবং বাকিরা প্রাপ্ত বয়স্ক।