ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ভ্রমণ আত্মার খোরাক

বর্তমান যুগে আমরা সবাই কর্মব্যস্ত। নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি তে পিষ্ট।মানসিক ভাবে সবাই বিপর্যস্ত। এই মানসিক বিপর্যস্ততা,অবসাদ, একঘেয়েমিজনিত বিষয় গুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে ভ্রমণের মাধ্যমে।

ভ্রমণ আমাদের প্রফুল্ল করে।এই প্রফুল্লতা আমাদের পুনরায় রুটিনমাফিক কাজে গতিশীল হতে সাহায্য করে। ভ্রমণ মানুষের মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এটি আত্মার খোরাক।তারা সময় সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়েন ভ্রমণে।বাংলাদেশে বেশকিছু ট্যুর স্পট রয়েছে।প্রচুর ভ্রমণপ্রেমি মানুষ ভীড় জমান স্থান গুলো তে। কিন্তু বাংলাদেশের ট্যুর স্পট গুলোর অবস্থা সন্তোষজনক না।

যানবাহন ব্যবস্থা,যানজট,আবাসিক ব্যবস্থা,খাবার-দাবারের মূল্য, অপরিষ্কার স্পট,চাঁদাবাজি,চুরি-ছিনতাই এমনকি যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অনেক পর্যটক।পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার চরম অভাব।পর্যটন কেন্দ্র গুলো রাষ্ট্রের একটি আয়ের উৎস। সর্বোপরি দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষের কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত পর্যটন কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

ভ্রমণপিপাসু আহসান হাবীব জুয়েলের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছেন-উম্মে রাহনুমা রাদিয়া, সিলেট বাদে সব জায়গায় ঘুরেছি। ঘোরাঘুরি আমার একটা নেশা পাশাপাশি জ্ঞান আহরণ করা তো বটে। প্রত্যেক জেলার মানুষদের আলাদা আলাদা জীবনযাত্রা আমাকে বেশি মুগ্ধ করে। আগে একাই ভ্রমণ করতাম এখন পরিবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ আমার মেয়ের মানসিক বিকাশ ঘটানো। পাহাড় ও দুর্গম পথ পাড়ি দিতে আমার বেশ ভালো লাগে। কিন্তু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা একদম খারাপ। ট্রেনের টিকেটিং সার্ভিসেও কোনো উন্নতি নাই। এজন্য হঠাৎ কোনো ট্যুরের ক্ষেত্রে বাসের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের রাস্তা গুলো ও সমস্যায় জর্জরিত। যানজটের কারণে পরিবার নিয়ে ট্রাভেল করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।

এছাড়াও ট্যুর স্পট গুলোতে আবাসিক ব্যবস্থা মোটেও সন্তোষজনক না।পরিবার নিয়ে থাকলে ভাড়া বেশি নেয়। তার উপর আমাদের বেশিরভাগ পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না। সরকারের অবশ্যই উচিত পর্যটন কেন্দ্র গুলোর দিকে মনযোগ দেওয়া।