মঠবাড়িয়ায় সুদ ব্যবসায়ীর নিকট জিম্মি একটি পরিবার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ১ লক্ষ টাকায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সুদ দেওয়ার পরেও আরও ২ লক্ষ টাকা সুদ দাবি করে ভুক্তভোগীর বসত ঘরে তালা মেরেছে প্রভাবশালী এক সুদ ব্যবসায়ী।কামাল মেকার নামে ওই ব্যবসায়ী দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের মৃত হানিফ মুন্সীর ছেলে।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার হোগলপাতি গ্রামের আঃ আজিজের পুত্র মোঃ খলিলুর রহমান দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে মাসখানেক পূর্বে দেশে আসেন।দেশে এসে মাহাবুব মেম্বারের বাড়ির পাশের নির্মানাধীন নতুন বাড়িতে ওঠেন।বাড়িতে আসার পরই সুদের পাওনা টাকা দাবি করেন কামাল মেকার।

প্রবাসী খলিলুর রহমান সৌদী আরবে থাকতে কিডনি রোগে আক্রান্ত হন।এরপর বুকে ব্যথাসহ একাধিক সমস্যায় ভুকতে থাকেন।কোন কাজ করতে না পারায় মালিক ছুটিতে দেশে পাঠায় তাকে।

দীর্ঘদিন আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় খলিল নিঃস্ব হয়ে পড়েন।দুই ছেলে অলিউল্লাহ (২৩) ও সানাউল্লাহ (২১) গার্মেন্টসে কাজ করেও সামাল দিতে পারছে না সংসার।ছোট ছেলে মাহমুদউল্লাহকে ৭ বছর বয়সেও অর্থের অভাবে স্কুলে পাঠাতে পারেনি মা মাহমুদা বেগম।

মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী অসুস্হ হওয়ার পর ২০১৭ সালে কামাল মেকারের নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা সুদে নেই।১ লক্ষ টাকায় মাসে সুদ ১০ হাজার টাকা। বছরে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। আমি দুই বছরে কামাল মেকারকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে পরিশোধ করি।

তিনি আরও বলেন,সম্প্রতী আমার স্বামী খলিলুর রহমান বাড়িতে আসে।খবর পেয়ে কামাল মেকার টাকা নিতে আসলে আমি আসল ১ লক্ষ টাকা দিতে চাই।কিন্তু কামাল মেকার আরও ২ লক্ষ টাকা সুদসহ ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং আমাদের ঘরের ভিতর তালা মেরে আটকে রাখে।পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।ঘর থেকে বাহিরে নামলেই মারধর ও হুমকির শিকার হতে হয় ওই প্রভাবশালীর।

মঠবাড়িয়া থানার এসআই নুরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।