মতামত উপেক্ষা করে বিয়ে, কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা ২০ দিনের মাথায়

হাতের মেহেদির রঙ না শুকাতেই মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে জীবনের আলো নিভে গেল কলেজছাত্রী আলো খাতুনের।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে আলো।

আলো খাতুন নাটোরের সিংড়া উপজেলার বামিহাল দশোপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে। চলতি বছর বামিহাল রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে সে।

ঈদুল ফিতরের পরদিন আলোর মতামত উপেক্ষা করে তাকে বিয়ে দেন বাবা-মা।

এলাকাবাসী জানান, ঈদুল ফিতরের পরদিন গত ৪ মে আলো খাতুনের মতামত উপেক্ষা করে রাজশাহী পুঠিয়ার ঝলমলিয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেয় তার বাবা-মা। বিয়ে সম্পন্ন হলেও আলো খাতুন তার বাপের বাড়িতেই ছিলেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে তার শয়ন ঘরে আলো খাতুনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ আলম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। ময়নাতন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে।