মদনে ডালের ভড়া খাওয়ায়ে চাচাতো ভাইসহ ৮ জনকে অজ্ঞান

প্রতিনিধি মদন (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার মদনে ডালের ভড়ার সাথে ধুতরা মিশিয়ে খাওয়ালে চাচাতো ভাইসহ ৮ জন অজ্ঞান হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চাচাতো ভাই জজ মিয়া ও হেলিম মিয়ার অবস্থা আশষ্কা জনক থাকায় তাদেরকে মদন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

শুক্রবার রাতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর ফতেপুর নয়াপাড়া বেসরকারি এফ আই বিডিবি স্কুলের পাশে আরশ মিয়ার চায়ের দোকানে লোকজন গেলে ইউপি সদস্য বকুল ডালের ভড়া খাওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং সমস্ত বিল নিজেই পরিশোধ করবে বলে সবাইকে ভড়া খেতে দেয়। ভড়া খেয়ে জজ মিয়া,হেলিম মিয়া,শাহ আলম, রেকা মিয়া, হিরণ মিয়া,হক মিয়া,ইছাক মিয়া, ফারুক মিয়া ঘটনা স্থলেই অজ্ঞান হয়ে যায়। আবার কয়েকজন দিক-বিদিক হয়ে আবল তাবল কথা বার্তা বলে ছোটাছুটি করতে থাকে। এর মধ্যে জজ মিয়া ও হেলিম মিয়ার অবস্থা আশষ্কা জন থাকায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

নয়াপাড়া গ্রামের বুলবুল বলেন,আমি হৈ-হুল্লর শোনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি এরা মাটিতে পড়ে রয়েছে ,আবার কেহ দিকবেদিক ছোটছে,পানি ঢেলে কয়েকজনকে সাময়িক সুস্থ করতে পারলেও ৪/৫ জনের অবস্থা আশষ্কাজনক। এর মধ্যে ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব শক্রতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমার ধারনা।

ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া জানান,আমি নিজেও ডাল ভড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে রয়েছি। তবে আমি কাউকে ভড়া খাওয়াইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। মূলত তারা সুহৃদর চাচাতো ভাইদের মধ্যে ঘটনা।

চায়ের দোকানদার আরশ মিয়া জানান,আমি নিজের এবং বাচ্চাদের চুল কানির জন্য প্রতি বৎসর ডালের সাথে ধুতরা মিশিয়ে ভড়া তৈরি করি। এ সময় আমার দোকানে এসে তারাও ভড়া খায়। এমন হবে এটা আমার জানা ছিল না। আমি নিজেও অসুস্থ।

মদন হাসাপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার তৌফিক জানান, চেতনা নাশক খাওয়ায় জজ মিয়া ও হেলিম মিয়ার জ্ঞান কম থাকায় তাদেরকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

মদন থানার ওসি মোঃ শওকত আলী জানান, এ ঘটনার খবর এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।