মশা মারার অকার্যকর ওষুধ কারা কিনেছেন, জানতে চান হাইকোর্ট

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের এমন বক্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন হাইকোর্ট। যে ওষুধে মশা মরে না তা আনার সঙ্গে কারা জড়িত এবং কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মশা নিধনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা তিনজন হলেও গণমাধ্যমে এ সংখ্যা ২১ ছাড়িয়েছে। তারপরও ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই দাবি করে আসছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা ভয় পাবেন না। ঘাবড়ে যাবেন না, মনোবল হারাবেন না। এমন বক্তব্যেই চটেছেন দেশের উচ্চ আদালত। বলেছেন, মশা মারতে কোনো পদক্ষেপই দৃশ্যমান নয়। যে ওষুধে মশা মরে না সে ওষুধ কেনার সঙ্গে কারা জড়িত তাও জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে অকার্যকর ওষুধ কেনায় কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদ বলেন, এই অকার্যকর ওষুধ যারা এনেছেন যারা ব্যবহার করেছেন এবং এর সাথে যারা জড়িত তারা দুর্নীতি করেছে। এই দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে কমিটির মাধ্যমে এই দুর্নীতি তদন্ত করে তাদের প্রতি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

এত কিছুর পরও দুই সিটির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আইনজীবী নুরুন নাহার বলেন, আমরা প্রতিদিন মশার ওষুধ ছিটিয়েছি। ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়ার জন্য স্কুল পর্যায়ে সচেতনতামূলক কাজ করেছি।

এদিকে,ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ২৫ থেকে ৩১ জুলাই সারাদেশে মশক নিধন অভিযান চালাতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ২৫ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত মশা নিধনের জন্য স্পেশাল অভিযান চালানোর জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ২০ আগস্ট ডেঙ্গু মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে। ঐদিন এডিস মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ জানাতে হবে।