মাদ্রাসা ও কারিগরিতে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। যা এবার বেড়ে এ দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী। আর এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২৩৬ জন শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডেও বেড়েছে পাসের হার। এবার এ বোর্ডে পাস করেছে ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডের পাসের হার ছিলো ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এই বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও বেড়েছে। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৪৪ জন।

বুধবার সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, কারিগরি বোর্ডে এ বছর ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২০ জন শরীক্ষা অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ লাখ ২ হাজার ৭১৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ। ২০১৮ সালে এ বোর্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার পরীক্ষা অংশ নিয়ে পাস করেছিল ৮৯ হাজার ৮৯ জন। পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া ২০১৮ সালে এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী। আর এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২৩৬ জন শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের ফলাফলে দেখা যায়, এবার মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ৮৬ হাজার ১৩৮ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৯৭ হাজার ৭৯৩ জন। এবারের পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি ৯ হাজার ৮৫৭ জন শিক্ষার্থী। গতবার এ সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৮৬১ জন। শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬১৫টি। আর, এক জনও পাস করতে পারেনি, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সাতটি। এবছর মোট ৪৪৮টি কেন্দ্রে ২৬৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছেন। বহিষ্কার হয়েছেন ১৩১ জন।