‘মামলার বাদীই মিতুর হত্যাকারী’

মিতু হত্যার ঘটনায় এখনও জামাতা বাবুল আক্তারকেই সন্দেহ করছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ। তিনি মনে করেন, মামলার বাদী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারই পরকীয়ার কারণে স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি পুরো বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্ট মোশাররফ গণমাধ্যমকে বলেন, খুনের প্রকৃত মোটিভ আড়ালেই রয়ে গেছে। মিতুকে কে কেন খুন করল তার রহস্য পুলিশ এখনও বের করতে পারেনি। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও, পুলিশের ভাষ্য ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মুছা ও কালু এখনও নিখোঁজ।

বাবুলের সঙ্গে দুই নারীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল দাবি করে তিনি বলেন, ওই নারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া ভারতীয় এক নারীর সঙ্গেও বাবুলের সম্পর্কের কথাও শুনেছেন বলে দাবি করেন মোশাররফ।

অন্যদিকে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বাবুল আক্তার দাবি করেছেন, শ্বশুর বাড়ির কথায় মামাত শ্যালিকাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে।

গতবছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম। হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলে এসেছিল। ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। পরদিন বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার।