‘মুখচেনা-বর্ণচোরা ব্যক্তিদের পেছনে কারা সবই জানি’

জাতীয় ঐক্যের নামে মুখচেনা-বর্ণচোরা ব্যক্তিদের পেছনে করা রয়েছে তা জানেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

নাসিম বলেন, ‘তথাকথিত জাতীয় ঐক্যের নামে কিছু অশুভ শক্তি গভীর ষড়যন্ত্র করছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চায়।’

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ঐক্যের নামে যদি তারা কোন অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে ১৪ দল তা মোকাবিলা করবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে পরাজিত হয় এ ধরণেনের কিছু অশুভ শক্তি আছে। তারা সব সময় মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে ভয় পায়। ১৪ দলের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে ভয় পায়।

তিনি বলেন, মুখচেনা-বর্ণচোরা ব্যক্তিরা ঐক্যের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এদের পেছনে কারা আছে আমরা সবই জানি। এই অশুভ শক্তির বিষয়ে ১৪ দল সতর্ক রয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্পষ্ট বলতে চাই- সামনের ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন আসছে। নির্বাচনকে ঘিরে এই অশুভ শক্তি বিএনপি- জামায়াতকে সমর্থন দেয়ার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের মোকাবেলা করা হবে।’

নাসিম বলেন, নির্বাচন হচ্ছে জনগণের রায় দেওয়ার একমাত্র উপায়। শেখ হাসিনা গত প্রায় ১০ বছরে কোনো নির্বাচন বিলম্বিত হতে দেননি। এটা সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি শেখ হাসিনার আনুগত্যের প্রমাণ।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোন নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ দিতে পারে। যদি কোন অনিয়ম বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। আসন্ন তিনটি সিটি নির্বাচনেও ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবে বলে জানান জোটের মুখপাত্র।

এসময় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।