মুশফিকের পেছনে লাগতে বারণ করলেন মাশরাফি

নিউজিল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে হা-হুতাশ রয়েছে। আফসোস হচ্ছে সবার। আর কয়েকটা রান যদি বেশি করা যেত। ব্যাটিংয়ে ছোট ছোট ভুল না করলে ২৬০-এর ওপরে রান এমনিতেই হওয়ার কথা ছিল।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মুশফিকুর রহিমের রান আউট। তবে তাঁর রান আউট নিয়ে যতটা সমালোচনা তার চেয়ে বেশি হচ্ছেু নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে রান আউট করতে না পারায়।

তবে অধিনায়ক মনে করেন, ব্যাটিংয়ের সময় মুশফিকের রান আউটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তবে উইলিয়ামসনকে রান আউট করতে না পারায় মুশফিকের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই মাশরাফির,‘ (টার্নিং পয়েন্ট) মুশফিকের রান আউট। ওরা দুজনই সেট হয়ে গিয়েছিল, তার পর মুশফিক রান আউট হয়ে গেল। এরপর সাকিব ও মিঠুন জুটি গড়ল, কিন্তু বড় করতে পারল না। ওই দুই জুটির একটি ৮০ বা ১০০ হলে স্কোর বড় হতে পারত। তখন খেলাও অন্যরকম হতে পারত।’

মাঝারি পুঁজি নিয়েও বাংলাদেশ লড়াই চালিয়ে গেছে। মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরোর বিদায়ের পর যদি উইলিয়ামসনকে রান আউটের সুযোগ নেওয় যেত, কিউরা পড়ে যেত প্রচণ্ড চাপে। কিন্তু মুশফিকের ওই ভুলে হাতছাড়া হয় সুযোগ। তামিম ইকবালের থ্রো হয়তো সরাসরিই লাগত স্টাম্পে। মুশফিক স্টাম্পের আগে থেকেই বল ধরতে গিয়ে হাতের গুতোয় ফেলে দেন বেলস। বল তখনও গ্লাভসেই আসেনি।

এই ভুলের কারণে মুশফিকের সমালোচনা হচ্ছে চারদিকে। তবে অধিনায়ক তাঁর পাশেই রয়েছেন,‘ মুশির ওপর চড়াও হওয়ার কিছু নেই। এটা যে কারও সঙ্গেই হতে পারত। সে চেষ্টা করেছে। থ্রো ছিল সোজাসুজি, কিপার হিসেবে বোঝা কঠিন যে স্টাম্পে লাগত নাকি না। সে চেষ্টা করেছিল আগে থেকে বল ধরতে, কিন্ত কনুইয়ে লেগে সম্ভবত বেলস পড়ে যায়। মাঠে এ রকম ভুল হয়ই। আমার মনে হয় না, ওর পিছু লাগার কারণ আছে।’

পরে আবার দুটি দারুন ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। মাশরাফির বিশ্বাস দল ঘুরে দাঁড়াবেই,‘ মুশফিক অবশ্যই পেশাদার, জানে এসব কিভাবে সামলাতে হয়। এমন তো নয় যে মুশি জীবনে প্রথম ভুল করেছে। ভুল সবারই হয়। সব ক্রিকেটারই সহজ ক্যাচ মিস করতে পারে। আগর ম্যাচে সৌম্য ক্যাচ ছেড়েছিল। আগে সে অনেক কঠিন ক্যাচও নিয়েছে। এ রকম সবারই হয়। মুশফিকের ক্ষেত্রেও হতে পারে, সামনেও হতে পারে।’