মুস্তাফিজের খরুচে বোলিংয়ের দিনে দিল্লির হার

দীনেশ কার্তিকের দাপুটে ব্যাটিংয়ের জোরে ম্যাচ জিতল কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (আরসিবি)। শনিবার টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ে নেমে আরসিবি ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে। তবে এদিন মুস্তাফিজুর রহমান চার ওভার বল করে দেন ৪৮ রান।

দীনেশ কার্তিকের ব্যাটিং তাণ্ডবের জন্যই এই রান তোলা সম্ভব হয় আরসিবির পক্ষে। জবাবে দিল্লি ক্যাপিটালস ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে। ১৬ রানে ম্যাচ জিতে যায় আরসিবি। এবারের আইপিএলে চতুর্থ জয় পেল কোহলির দল।

ছয় ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে ব্যাঙ্গালুরু। আর পাঁচ ম্যাচে ৩ হার ও ২ জয়ে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে অবস্থান দিল্লির।
ব্যাঙ্গালুরুর দেওয়া ১৯০ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারান পৃথ্বি শ। ১৬ রানে তার বিদায়ের পর দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার।

দ্বাদশ ওভারে হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৩৮ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার। এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি মিচেল মার্শ (১৪)।

চারে নেমে থিতু হয়ে ব্যাট করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান রিশভ পন্ত। কিন্তু অপরপ্রান্তে পরপর উইকেট হারাচ্ছিল ব্যাটাররা।

শেষপর্যন্ত মোহাম্মদ সিরাজের বলে উইকেট হারান দিল্লির অধিনায়ক। ১৭ বলে ৩৪ রান করে তার বিদায়ের পর আর কেউ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফলে ১৭৩ রানেই থেমে যায় দিল্লির ইনিংস। ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন জশ হ্যাজেলউড।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ব্যাঙ্গালুরু। ৪০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। চারে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৪ বলে ৫৫ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলে কুলদীপ যাদবের শিকার হন তিনি। শেষদিকে এসে দিনেশ কার্তিক ও শাহবাজ আহমেদের ৫২ বলে ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় ব্যাঙ্গালুরু। ৩৪ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কার্তিক। অপরপ্রান্তে থাকা শাহবাজের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৩২ রান।

এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে চার ওভার বল করে মোট ৪৮ রান দিয়ে মুস্তাফিজ থেকেছেন উইকেটশূন্য। তবে প্রথম তিন ওভারে বেশ ভালো বোলিং করেছিলেন। তিন ওভারে মাত্র ২০ রান দেন মুস্তাফিজ।

এই মুস্তাফিজই নিজের শেষ ওভার করতে এসে দিলেন ২৮ রান। কাটার মাস্টারকে লজ্জার এক ওভার উপহার দিয়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটার দিনেশ কার্তিক। কাটার মাস্টারের শেষ ওভারে ৪টি চার আর দুই ছয়ে ২৮ রান সংগ্রহ করেন তিনি।