মৌলভীবাজারে কালো বস্তায় অবৈধ ব্যালট পেপার!

মৌলভীবাজার-৩ (সদর ও রাজনগর) আসনে বিএনপি প্রার্থী এম নাসের রহমানের গাড়ি ও প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় মৌলভীবাজার পৌরসভায় এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

পরে ওই দিন রাত ১১টায় তাৎক্ষণিকভাবে নাসের রহমান সদর উপজেলার বাহারমর্দনস্থ নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম জানতে পারি, মৌলভীবাজার পৌরসভায় কালো বস্তায় অবৈধ ব্যালট পেপার আনা হয়েছে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে দলের ৭-৮ জন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পৌরসভায় এসে মেয়রের রুমে ঢুকতে চাইলে মেয়র আমাকে রুমে না ঢুকিয়ে নিচে এনে কাউন্সিলরদের রুমে বসান। এ সময় ওই বস্তাগুলোতে কী জানতে চাইলে মেয়র ফজলুর রহমান বলেন- আমাদের নির্বাচনী কাজের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখা হয়েছে। এগুলো দেখতে চাইলে আমাকে দেখানো হয়নি। ’

তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় আমাকে কাউন্সিলরদের রুমে রেখে তিনি ওপরে চলে যান। বিষয়টি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালালকে জানালেও তিনি কোনো প্রদক্ষেপ নেননি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ১০-১২ মিনিটের মাথায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের গাড়িতে কালো টাকা বলে হামলা শুরু করলে নিজেকে রক্ষা করতে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। এ সময় আমার ব্যবহৃত জিপ গাড়ির এবং বেগম খালেদা রাব্বানীর ব্যবহৃত কারের (গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো-খ ১১-০৫০৫) পেছনের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। ’

বিএনপি প্রার্থী আরও বলেন, এ ঘটনায় শনিবার সকালে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ নিয়ে আমার পিএস শাহজান সিরাজ গেলে ওসি সুহেল আহম্মদ তাকে অভিযোগের রিসিভ কপি দেননি।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ধানের শীষের প্রার্থী নাসের রহমান রাতে পৌরসভায় এসেছিলেন। তখন আমি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে জরুরি কাজে বসেছিলাম।

মেয়র বলেন, ব্যালট তার অফিসে আসার কথা নয়, এটি প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে থাকার কথা।

নাসের রহমানের গাড়ি ও অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটি বিএনপির পরিকল্পিত সাজানো ঘটনা। ভোটের আগের দিন ভোটারদের কাছে আমাদের হেয়প্রতিপন্ন করতে এটা করা হয়েছে।